সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৪৭ pm
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে পেশাগত সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় থানায় মামলা হলেও গেলো ১২ দিনেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এতে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে হামলাকারী আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী ইউপি মেম্বার বেলি খাতুন। ফলে প্রতিনিয়ত সাংবাদিক পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন হামলার শিকার সাংবাদিক আবুল কাশেম বাবু।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির শ্রীখন্ডা গ্রামের বাসিন্দা মো. হাসান আলীর পুত্র সাংবাদিক আবুল কাশেম বাবু (৩৫) সম্প্রতি গেলো (৩ এপ্রিল) শনিবার বিকেলে প্রথম রোজার ইফতার ক্রয়ের জন্য মটরসাইকেল চালিয়ে শ্রীখন্ডা মোড়ে যান। সঙ্গে তার ৮ বছরের শিশু মোহাম্মদ ওয়ালি মুশফিক ফাহিম ছিল। এসময় ওই গ্রামের বাসিন্দা আমিন হোসেনের পুত্র ঔষধ ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন (৩৭) ও তার স্ত্রী ইউপি মেম্বার বেলী বেগম (৩২) পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পথরোধ করে। পরে তার বিরুদ্ধে নিউজ করা হয়েছে কেন বলেই আলমগীর ও তার স্ত্রী বেলী বেগম অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় সাংবাদিক কাশেম মটরসাইকেল নিয়ে মাটিতে পড়ে যান। এহেন সময় আলমগীর ও বেলী বেগম লোহার রড় দ্বারা মাথায় আঘাত করে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করতে থাকেন। এতে সাংবাদিক কাশেমের মাথা ফেটে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় শিশুপুত্র ফাহিম বাবা মরে গেলো বলে চিৎকার দেয়। এমন চিৎকার শোনে স্থানীয়া উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিস্থিতি ভয়াবহ লক্ষ্য করে অপারেশন টেবিলে নিয়ে মাথায় ১২টির মতো সেলাই দেন।
ঘটনার পরদিন ৪ এপ্রিল সাংবাদিক কাশেম বাদী হয়ে তাদের স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে তানোর থানায় হত্যা চেস্টার মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ৮। কিন্তু থানায় মামলা রেকর্ডের ১১ দিন গেলেও হামলাকারীদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে করে সাংবাদিক কাশেমের পরিবারের মাঝে বিরাজ করছে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ। কাশেম দৈনিক অর্থনীতি পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি দৈনিক পুনরুঙ্খান ও সূর্য্যের আলো অনলাইন নিউজ পোর্টালে রয়েছেন।
এবিষয়ে তানোর মডেল প্রেসক্লাবের অন্যতম সদস্য আব্দুস সবুর বলেন, একজন পেশাগত সাংবাদিককে হত্যার চেস্টা করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ মামলা রেকর্ড করে দায় সেরেছেন। ঘটনার ১১ দিনেও হামলাকারীদের গ্রেফতার করা হয়নি। ফলে তারা দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে তিনি হামলাকারীদের দাবি জানান।
এনিয়ে আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী ইউপি মেম্বার বেলী বেগম বলেন, এতো কথা মোবাইলে বলা সম্ভব নয়। স্বশরীরে সাক্ষাৎ হলে তারা কথা বলবেন বলে এড়িয়ে গেছেন।
অবশ্য মামলার আইও এসআই আক্তার জানান, আলমগীরের বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তবে, তার স্ত্রী সংরক্ষিত ইউপি মেম্বার বেলী বেগম আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান মিয়া বলেন, আলমগীরকে গ্রেফতারে বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তিনি এলাকায় না থাকায় গ্রেফতার সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান ওসি। আজকের তানোর