মঙ্গবার, ০৩ িসেম্র ২০২৪, সময় : ১১:১৬ pm
ডেস্ক রির্পোট : সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষক ও হোস্টেল সুপারভাইজার ডাক্তার কাজী রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন, মানসিক নির্যাতন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ বার্তা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরাসহ তাদের অভিভাবকরা সিরাজগঞ্জ সদর আসনের এমপি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকসহ (প্রশাসন) সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী রফিকুল আলম দীর্ঘদিন যাবত হোস্টেল শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করানো এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার ভয় দেখিয়ে ক্লাসে আপত্তিকরভাবে শরীরে স্পর্শ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল বার্তা ও কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব প্রদান করে আসছেন। তার এসব আচরণের সাড়া না দিলে তিনি রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদের অধীনে অনুষ্ঠিত প্রতিটি মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করে দিয়ে থাকেন।
ওই ডাক্তারের আচরণে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এসব বিষয়ে একাধিকবার প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে অবগত করা হলে তাকে সতর্ক করা হয়। কিন্তু তিনি সংযত হওয়ার পরিবর্তে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। ডাক্তার রফিকুল ইসলামের এসব কুকর্মের কারণে অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে হোস্টেল ছেড়ে চলে গেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত হোস্টেল সুপারভাইজার ডাক্তার রফিকুল আলম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মান সম্মান নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ মেডিকেল এ্যাসিস্টেন্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডা. আকিকুন নাহার ৭ এপ্রিল লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের আলোকে ৯ এপ্রিল দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. রামপদ রায় জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র : যুগান্তর