রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৫ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : কৃষকরা ফসলের উৎপাদন বাড়াতে যে ‘এপিএসএ-৮০’ নামক ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহার করেন, সেটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল)। এটুকু শুনেই অনেকের চোখ কপালে উঠতে পারে, ভ্রূ কুঁচকাতে পারেন সমর্থকরা! আইপিএল মাঠে কেন ফসলের বাড়তি উৎপাদনের স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে?
উপমহাদেশে ফ্লাডলাইটের আলোর নিচে দিবা-রাত্রির ম্যাচ মানেই শিশিরের আধিক্য। নিস্তার মিলছিল না এবারের আইপিএলের শুরু থেকে।
সন্ধ্যার ম্যাচে পরে বল করা দলকে বেশি বিপদে পরতে হচ্ছে, এজন্য টস জেতা দলগুলো প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়ে নিজেরা আগে বোলিংয়ের কাজ সেরে নিচ্ছে। শিশিরের ফলে রাতে ব্যাট করা তুলনামূলক সহজ হচ্ছে। মূলত টস ভাগ্যই ম্যাচের ফলাফল গড়ে দিচ্ছে।
শিশিরের মাত্রা এতোটাই যে, চেন্নাই আগে ব্যাট করে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়েন্টকে ২১১ রানের লক্ষ্য দিয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি বোলিংয়ের কারণে। মূলত চেন্নাইয়ের বোলাররা বল গ্রিপ করতে পারছিলেন না। এতে চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিং বলেন, ‘স্পিনাররা আগেই খেলার হিসাব থেকে বের হয়ে গেছে।
কারণ, বল যেভাবে ভিজেছে, মনে হচ্ছিল যেন নায়াগ্রা জলপ্রপাত। আর ওরাও (লক্ষ্ণৌ) ভালো খেলেছে। এর ফলে প্রথমত, স্পিনারদের পক্ষে বল গ্রিপ করা এবং দ্বিতীয়ত, কার্যকর হওয়া খুব কঠিন ছিল।’
সম্প্রতি চেন্নাই সুপার কিংস বনাম পঞ্জাব কিংসের মধ্যকার ম্যাচের পর ধারাভাষ্যকার ম্যাথু হেইডেনকে বলতে শোনা যায়, এই ম্যাচের সত্যিকারের সেরা হলেন গ্রাউন্ডসম্যানরা। শিশিরের আধিপত্য রুখতে এই ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহার করেন মাঠকর্মীরা।
সে ম্যাচের শেষে ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে তোলে পাঞ্জাব অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোনও মাঠকর্মীদের ধন্যবাদ দেন এই ‘অ্যাগ্রি স্প্রে’ ব্যবহার করে শিশির প্রতিরোধ করার জন্য। শিশিরহীন পরিবেশে তিনি যে বল করতে পেরেছেন, তারই কৃতিত্ব দেন মাঠকর্মীদের। সূত্র : পদ্মাটাইমস