সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৪ am
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে প্রকাশ্যে স্কুলের সামনেই প্রেমিকা স্কুল ছাত্রীর শ্লীলতাহানি। পরে কথিত প্রেমিক যুবকের বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সম্প্রতি গত ৪ এপ্রিল সোমবার উপজেলার কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয় চত্ত্বরে স্কুল চলাকালীন সময়ে ঘটে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি। বখাটে প্রেমিকের এমন কান্ডে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এহেন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক মহল ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
একাধিক অভিভাবক তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এর দায় প্রধান শিক্ষক এড়াতে পারে না। কারণ এরআগেও এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া শ্লীলতাহানির অভিযোগ আপোষযোগ্য অপরাধ নয়। কেন বখাটেদেরকে পুলিশে দেওয়া হয়নি। পুলিশে না দেওয়ার কারণে পুনরায় এমন ঘটনা আবারও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর এলাকার গুপইল মহল্লার নইমুদ্দিন আলীর পুত্র নবী আলী (১৮) মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কামারগাঁ গ্রামের জনৈক ব্যক্তির স্কুল শিক্ষকের কন্যা ও কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর (১৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কথিত প্রেমিক নবী ও তার বন্ধু রানা কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে দেখা করতে বলে। এহেন প্রেক্ষিতে তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী (কথিত প্রেমিক) ও তার দুই সহপাঠীকে নিয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন কড়াইতলা যায়। এসময় কথিত প্রেমিক নবী তাকে বিয়ে করতে হবে বলে চাপ দিয়ে শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক মোটরবাইকে উঠিয়ে নিতে চায়। এতে প্রেমিকা যেতে অস্বীকার করে। এহেন সময় নবী জোর জবস্থি করে বিষপানে আত্মহত্যার ভয়ভীতি দেখায়। এতে কথিত প্রেমিকা বাঁধা দেয়। এনিয়ে কথিত প্রেমিক যুগলের মধ্য ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে নবী ও তার বন্ধু প্রেমিকাকে গালমন্দ ও শ্লীলতাহানি ঘটায়। ঘটনা বেগতিক বুঝতে পেরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মচারী এসে নবী ও রানাকে আটক করে কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেন।
এদিকে, সহপাঠীকে মারপিটের খবর জানতে পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং বখাটে নবী ও রানাকে পুলিশে দেবার দাবি জানান। এ সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি টের পেয়ে প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটি ঘোষণা করেন। ঘটনাটি নিয়ে বিশেষ মহল তাদের পুলিশে দিতে বাধা দেয়। এছাড়াও ঘটনা ধাঁমাচাঁপা দিয়ে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে মরিয়া হয়ে উঠে।
স্থানীয়রা আরও জানান, বিশেষ মহলের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার শালিস বৈঠকের নামে প্রহসন করেছেন। শিক্ষার্থীরা বলেন, অভিযুক্ত যুবকের শাস্তি দেয়া না হলে তারা ক্লাশ বর্জনসহ নানা কর্মসুচি দিবেন।
এবিষয়ে উপজেলার কামারগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বলেন, স্কুল ও মেয়ের পরিবারের সম্মানের কথা বিবেচনা করে ছেলে ও মেয়ের উভয়পক্ষের অভিভাবকদের ডাকা হয়। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার, বিএনপি নেতা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জুয়েল ও শিক্ষকবৃন্দ সালিশ বৈঠকে বসে উভয়পক্ষের অভিভাকদের কাছে থেকে মুচলেকা নিয়ে আপোষ করা হয়েছে।
তানোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার জানান, আমাকে প্রধান শিক্ষক ডেকে ঘটনা বলেন। আমি উভয়ের অভিভাবককে ডাকতে বলি। তারা আসলে ছেলে মেয়েকে অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় আপনি এভাবে সালিশ বিচার করতে পারেন কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, ছোট ঘটনা এজন্য করা হয়েছে বলে এড়িয়ে যান ভাইস চেয়ারম্যান সোনিয়া সরদার। আজকের তানোর