শনিবর, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫২ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট : রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় মাদকের টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার রাওথা মাদ্রাসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত মাদক ব্যবসায়ী আব্বাস আলী (৩৮) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বুধবার বাড়িতে যান।
জানা গেছে, চারঘাট উপজেলার রাওথা গ্রামের পলান উদ্দিনের ছেলে মাদক সম্রাট বাশার উদ্দিন বেশ কিছু দিন আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে রহমান হোসেনকে ৫০০ পিস ফেনসিডিল দিয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে রাওথা মাদ্রাসার পাশে বাশারের সাথে সেই মাদকের টাকার হিসাব নিয়ে বসে রহমান ও তার দুই ভাই আব্দুল আলীম ও আব্বাস আলী। হিসাব শেষে রহমান ও তার দুই ভাই আব্দুল আলীম ও আব্বাসের কাছে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মতো মাদকের বাঁকি টাকা পায় বাশার। এ সময় বাশার তার লোকজন নিয়ে তাদের কাছে পাওনা টাকা দিতে চাপ দিতে থাকে।
এসময় উপস্থিত দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বাশারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আব্বাস আলীর চোখের উপরে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে রওথা গ্রামের রশিদের ছেলে নাসির নামের একজনকে মাথায় হাতুড় দিয়ে আঘাত করে এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে সে আহত হয়। নাসির মাদক ব্যবসায়ী রহমানের অংশীদার।
এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়। পরে আহত নাসির ও রাওথা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আব্বাস আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এরমধ্যে আব্বাস আলীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। আহত নাসির ও আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, দুই পক্ষই এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তারা পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করে। কেউ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে না। তাদের সবার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। দুই পক্ষই মাদক কারবারী হওয়ায় থানায় কোনো পক্ষ মামলাও করেনি।
এ বিষয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাশারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্বাস এখন সুস্থ। মাদকের টাকা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন। তবে মারামারির ঘটনায় আব্বাস আহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।
এ ঘটনায় চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এমন কোন ঘটনা জানতে পারিনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। আজকের তানোর