বুধবা, ০৯ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০৯:২০ am
ইমরান হোসাইন :
রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের স্বার্থে কাজ করছেন। যার ফলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা পড়েছে মহাবিপাকে। গেলো ৩০ জানুয়ারি মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন নৌকার মেয়র প্রার্থীর আমিনের পক্ষে মাঠে নামেনি, এমনকি কোন কাজ করেননি।
উল্টো স্বতন্ত্র প্রার্থী (জগ) সাইদুরের পক্ষে কাজ করেছেন। আমিনের হাতে তুলে দেয়া শেখ হাসিনার উপহার নৌকাকে ফেল করিয়ে স্বতস্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করে, নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। শেখ হাসিনার (নৌকার) সম্মান তারা রক্ষা করেননী। তারা নৌকাকে ডুবিয়েছেন।
মুন্ডুমালা পৌরসভায় মেয়রপদে তীরে এসে ডুবেছে নৌকা। বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের কাছে মাত্র ৬১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন আ’লীগ মনোনীত নৌকার মেয়রপ্রার্থী আমির হোসেন আমিন।
জানা গেছে, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানীর নিজ ভোট কেন্দ্রেই এতো বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার পরাজয় ঘটেছে। অপরদিকে, নবনির্বাচিত মেয়র সাইদুর রহমান তার নিজ ভোট কেন্দ্রেই নৌকার কাছে পরাজিত হন। মোট ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রেই নৌকা বিজয়ী। কিন্তু সভাপতির ভোট কেন্দ্রেই এতো বিপুল ভোটে নৌকার পরাজয় মেনে নেয়ার নয়।
নৌকাকে ডুবিয়ে বিদ্রোহী সাইদুর জগ প্রতীকে ১০৪৯ ভোট পেয়েছেন। আর নৌকা প্রতীকে ৫৫৮ ভোট পেয়ে আমিন পরাজিত হন। তবে, ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপি প্রার্থী ফিরোজ কবির শুধু ২৮০ ভোট পান।
এব্যাপারে মুন্ডুমালার বাসিন্দা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আমিন ও বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর মুন্ডুমালা বালিকা দাখিল মাদ্রাসা একই কেন্দ্রের ভোটার। নিজ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে আমিন ৫৭৪ ভোট পান। কিন্তু সাইদুর তার নিজ ভোট কেন্দ্রেই নৌকার কাছে ১৪৭ ভোটে পরাজিত হন। তিনি আরও বলেন, এই হিসেব থেকে বোঝা যায়, আওয়ামী লীগ সভাপতির ইশারায়, ইন্ধনে ও তার খেদমতে তীরে এসে তার কেন্দ্রেই নৌকাকে ডুবিয়েছেন রাব্বানী।
বর্তমানে রাব্বানী ও মামুন তানোর পৌরসভায় নৌকার পক্ষে কাজ করছে। তবে, কেন মুন্ডুমালা পৌরসভায় নৌকার পক্ষে কাজ করলো না। আমি কেন্দ্র ও জেলার নেতাদের কাছে দাবি জানাচ্ছি রাব্বানী ও মামুনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অপরদিকে, নৌকা ডুবিয়ে মুন্ডুমালা পৌরসভার বর্তমান মেয়র সাইদুর রহমান (জগ) আজ তানোরে এসে ইমরুলের পক্ষে নৌকার ভোট চাইচ্ছেন। তার মানে কি বোঝায়? তিনি মুন্ডুমালা নৌকার বিপক্ষে কাজ করে নিজের র্মাকা জগ কে জয়ী করে নিলেন। এখন তানোরে এসে নৌকার পক্ষে সুর মিলাচ্ছে। এমপি সাহেব তানোরে পৌরসভায় আবুল বাসার সুজনকে চাচ্ছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক দিক দিয়ে দলের সিন্ধান্ত মতে সুজন বাদ পড়ে ইমরুলকে দলীয় ভাবে মনোনীত করে।
ওই সব ব্যক্তিরা আজ তানোর পৌরসভার নির্বাচনে নৌকা পক্ষে কাজ করছে। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছেন। ভোটাররা বলছেন, আ’লীগের থানা পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকজন ক্ষনে ক্ষনে রঙ বদলানো নিজেদের স্বার্থে কখনো হাতুড় দিয়ে নৌকা ফুটো করা আবার কখনো কলস আবার কখনো জগ দিয়ে নৌকা ডুবিয়ে আবার নৌকার পক্ষে নৌকার নির্বাচনী সভার নামে ভোট চাওয়া ওইসব নেতাদের রাজনৈতিক আদর্শকে নৌকার আদর্শিক নেতা হিসেবে মানতে না পারা ভোটার সহ সচেতন মহলে শুরু হয়েছে মুখরোচক আলোচনা ও সমালোচনা।
দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকসহ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যেসব নেতারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ সম্প্রতি মুন্ডমালা পৌরসভা নির্বাচনে সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো এবং সরাসরি নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী ও পরাজিত হয়েছেন (তারাও) ওইসব নেতারাও তানোর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন এর হেতু কি।
সোমবার বিকালে তানোর গোল্লাপাড়া বাজার ফুটবল মাঠে অনুষ্ঠিত আওয়ালী লীগ দলীয় নৌকার মেয়র প্রার্থী ইমরুল হকের নির্বাচনী সভায় নৌকার বিপক্ষে ভোটে অংশ নেয়া নেতারাসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওই সমাবেশে ডাকা হয়নি মুল ধারার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচনে যদি রাব্বানী ও মামুন বিরোধীতা না করতেন তাহলে নৌকা বিজয়ী হতো। তাদের জন্য নৌকার আজ ভরা ডুবি। মুন্ডুমালা পৌরসভায় নৌকার বিরোধীতা করে আজ তারা তানোর পৌরসভায় নৌকার পক্ষে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এমপি সাহেবকে নেতাদের কাছে ছোট করতে রাব্বারী ও মামুন জাল একেছে। কিন্তু তারা জানে না তাদের জালে তারা নিজেরাই ধরা পড়বে। আমি সব সময় চাই নৌকার বিজয়ী হোক। সেজন্য আমিসহ আমার নেতা-কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। আজকের তানোর