সমবার, ২৩ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:২৭ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেটের সামনে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম (২৬) খুনের ঘটনার সাত দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল আসামীদের একজন বাদে কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।
গত ২১ মার্চ রাতে নিউ মার্কেটের সামনের ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আহত হন রিয়াজুল ও রিংকু দুই সহদর। হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ফুটপাতে জুতা-স্যান্ডেল দোকান চালাতেন। আহত রিংকু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই রাতেই নিহত রিয়াজুলের বাবা মধু মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকার সাঈদ শেখের ছেলে রানা শেখ (৩০) ও রনি শেখ (২৬), রতনের ছেলে নাঈম (২৬), গৌরহাঙ্গা এলাকার আনুর ছেলে রিমন (২৪) ও দড়িখড়বনা এলাকার হাসুর ছেলে নাঈম (৩৫)। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ঘটনার রাতেই মামলার অন্যতম আসামী ষষ্ঠীতলা এলাকার নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেটের সামনে জুতা-স্যান্ডেল ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম (২৬) খুনের পর ওই এলাকার ফুটপাত দখলমুক্ত করা হয়েছে। নিহত রিয়াজুলের বোন বৃষ্টি আক্তার বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁতি লীগের রানা ও রনি ওই দুই ভাইসহ চিহ্নিত আসামীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আসামীরা বাইরে থাকায় তারা পুরো পরিবার নিয়ে ভয়ে রয়েছে।
খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ফুটপাতের ব্যবসায়ী রিয়াজুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন বাদে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এদিকে রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বুলডোজার দিয়ে নিউমার্কেটের ফুটপাত ঘিরে গড়ে ওঠা অন্তত ২৫টি দোকান সরিয়ে দিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। নিউমার্কেটের উত্তরের গেটের পাশেই মহানগর তাঁতি লীগের কার্যালয়। ফুটপাত দখলকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডে সেই তাঁতি লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে এলাকাবাসী সহ নিহত পরিবারের অভিযোগ।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ফুটপাতের দোকান উচ্ছেদের পর সেখানকার ব্যবসায়ীরা তাঁতি লীগের কার্যালয়ও ভেঙে ফেলার তাগাদা দেয়। তখন সেখানে সংগঠনটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমানসহ কয়েকজন এসে নিজেরাই মালপত্র সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালান। পুলিশ তাদের জানায়, উচ্ছেদ করা তাদের কাজ নয়।
একপর্যায়ে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি হলে পুলিশ আহ্বায়কসহ আনিসুরসহ দুজনকে ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যায়। পরে অবশ্য তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। নিহত রিয়াজুলের পরিবারের দাবি, তাঁতি লীগের রানা ও রনি কয়েক দিন ধরে ফুটপাত থেকে তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছিল। আজকের তানোর