শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:৩৫ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ বাংলাদেশ ও ভারত ভিসা জটিলতায় চার যৌথ সিনেমা একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির শাহরিয়ার কবির আটক
গণহত্যাকারীদের ক্ষমা নাই : ড. হারুন রশীদ

গণহত্যাকারীদের ক্ষমা নাই : ড. হারুন রশীদ

আজ ২৫ মার্চ। মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি কলঙ্কিত দিন। দিনটি ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের এদিনে বাঙালির জীবনে নেমে আসে নৃশংস, ভয়ঙ্কর ও বিভীষিকাময় কালরাত্রি। এ রাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী `অপারেশন সার্চলাইট`র নামে স্বাধীনতাকামী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে হিংস্রের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আর এদিন বাঙালি জাতি তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করেছিল এক নৃশংস বর্বরতা। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শুরু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচালিত এ অভিযানের উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির মুক্তির আকাঙ্খাকে অঙ্কুরেই ধ্বংস করা। সেইরাতে হানাদাররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ইকবাল হল, রোকেয়া হল, শিক্ষকদের বাসা, পিলখানার ইপিআর সদরদপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনে একযোগে নৃশংসতা চালিয়ে হত্যা করে অগণিত নিরস্ত্র দেশপ্রেমিক ও দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। দিনটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এ জন্য সরকার কাজ করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগিয়ে চলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ। যারা গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল তাদেরও বিচার হচ্ছে। গণহত্যাকারীদেরও ক্ষমা নাই। তাদেরও বিচার হতে হবে। এর মধ্য দিয়ে দায়মুক্তি ঘটবে আমাদের। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- এটাই সবার প্রত্যাশা।

এছাড়াও সেই রাতে একে একে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, জাতীয় প্রেসকাবেও অগ্নিসংযোগ, মর্টার সেল ছুঁড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে পাক হানাদাররা। এ হামলায় জীবন দিতে হয় বেশ ক’জন গণমাধ্যম কর্মীকেও। আজকের দিনে ভয়াল ২৫ মার্চ রাতের সকল শহীদদের প্রতি জানাই আমাদের শ্রদ্ধা। পাশাপাশি দিনটিকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও পালনের যে দাবি উঠছে তার প্রতিও আমরা সমর্থন জানাই।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে বাঙালির জীবন উৎসর্গ করার ঐতিহাসিক ঘটনার পথ ধরে এ দেশের মানুষকে পাড়ি দিতে হয় অনেক পথ। এই পথের ধারাবাহিকতায় আসে ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান এবং এসবেরই ধারাবাহিকতায় আসে ১৯৭০ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু নির্বাচনের এই রায় দেখে চমকে যায় পাকিস্তানের কায়েমী স্বার্থবাদী স্বৈর-সামরিক চক্র। কিছুতেই তারা গণতন্ত্রের রায় মেনে নেবে না। শুরু হয় নানান অজুহাত এবং চলতে থাকে চক্রান্ত। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছিল ছয় দফার পক্ষে।

সেই ছয় দফা পরিণত হয় এক দফায়। শুরু হয় এক অভূতপূর্ব আন্দোলন, অহিংস অসহযোগ আন্দোলন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্সে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) উত্তাল জনসমুদ্রে দিলেন এক ঐতিহাসিক ভাষণ। সংগ্রামের পূর্বাপর ইতিহাস তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে তাঁর ওই ভাষণে ঘোষণা করলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দিলেন তিনি, নির্দেশ দেন যার হাতে যা আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার।

চলতে থাকে নানা চক্রান্ত। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলোচনার জন্য ঢাকায় আসেন এবং সুকৌশলে আলোচনার নামে সৈন্য ও সমরাস্ত্র আনা শুরু করেন। এভাবে সুকৌশলে শুরু হয় কালক্ষেপণ। তারপর এক পর্যায়ে আসে ২৫ মার্চ। এই ২৫ মার্চের রাতে সশস্ত্র পাকিস্তানী বাহিনী হায়েনার মতো নেমে পড়ে গণহত্যায়। একেবারে প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বাসভবন এবং ছাত্রদের হল, রাজারবাগ পুলিশের হেডকোয়ার্টার, ইপিআর সদর দফতর, বিভিন্ন স্টেশন ও টার্মিনালে আক্রমণ চালানো হয়। ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালি হত্যার উৎসব শুরু হয় ওই রাতে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। দিনটি যাতে আন্তর্জাতিকভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি পায় এ জন্য সরকার কাজ করবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগিয়ে চলছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ। যারা গণহত্যায় সহযোগিতা করেছিল তাদেরও বিচার হচ্ছে। গণহত্যাকারীদেরও ক্ষমা নাই। তাদেরও বিচার হতে হবে। এর মধ্য দিয়ে দায়মুক্তি ঘটবে আমাদের। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ ধরে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- এটাই সবার প্রত্যাশা। লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্ট। ডেপুটি এডিটর জাগো নিউজ।

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.