শুক্রবার, ০৪ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০৫:২৯ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। দেশটির নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তকে আটকের পর রিমান্ডে নেয় দেশটির সামরিক শাসকরা। প্রথমে বিক্ষোভের মাত্রা কম থাকলেও দিন যত গড়াচ্ছে তত বিক্ষুব্ধ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে দেশটির হাজার হাজার শেণিপেশার মানুষ। এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শহরে গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নামে। কিন্তু আগে থেকে সমাবেশ নিষিদ্ধ থাকায় পুলিশ বাধা দেয়। ফলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নেপিদো।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, পুলিশ বিক্ষোভকারীদের দমাতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পাশাপাশি জলকামান দিয়ে পানি ছোড়া হয় বিক্ষোভকারীদের ওপর। বিক্ষোভকারীরাও পুলিশের ওপর হামলা চালান। তারা হাতের কাছে বোতল, লাঠি যা পেয়েছেন তা-ই ছুড়ে মারছেন পুলিশের দিকে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে শহরের একটি ক্লিনিকের চিকিৎসক জানিয়েছেন, অন্তত তিন বিক্ষোভকারীর শরীরে রাবার বুলেটের আঘাত দেখতে পেয়েছেন। তারা সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাতে কয়েকটি শহরে কারফিউ বহাল রেখেছে সেনা শাসক। কঠোর বিধিনিষেধ আরোপে রাস্তায় বের হওয়ায় কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে দানা বাঁধছে অসন্তোষ।
এর আগে সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মিয়ানমারের সেনা প্রধান নতুন নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিলেও আন্দোলনের মাত্রা আরো জোড়ালো হয়েছে।
বিক্ষোভ না দেখাতে আগেই সর্বোচ্চ হুঁশিয়ারি দিয়ে বর্তমান শাসক ও সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং জানান, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। সুতরাং আন্দোলন না থামালে যে কোনো কঠিন পদক্ষেপের জন্য সরকার দায়ী থাকবে না।
এর আগে গত সপ্তাহে মিয়ানমারের কাউন্সিলর ও নেত্রী অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্তসহ জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে সামরিক সরকার। পরে তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে সু চি ও উইন মিন্তকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এদিকে সামরিক সরকারকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে আহ্বান জানিয়ে আসছে জাতিসংঘসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর