রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৩০ am
সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইনের করা মামলায় তার স্ত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবাহকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামিন পেয়েই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন সুবাহ।
এর পর বলেন, আদালত আমার প্রতি ন্যায় বিচার করেছেন। আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার আইনজীবীর কাছে কৃতজ্ঞ।
বিচারিক আদালতে সব সত্য তুলে ধরবেন বলে জানান এ অভিনেত্রী।
বলেন, আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে এনে ইলিয়াস মামলা করেছিলেন। আমি বিচারিক আদালতে এসব বিষয় তুলে ধরব।
আজ সুবাহর পক্ষে আদালতে মামলার শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সুবাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৬, ২৯ ও ৩৫ ধারায় মামলা করেন তার স্বামী ইলিয়াস। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলাটি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইলিয়াস হোসাইনকে নিয়ে বিভিন্ন মানহানিকর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন সুবাহ।
মামলার নথিতে ইলিয়াস উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে একটি রেস্তোরাঁয় ইলিয়াসের সঙ্গে পরিচিত হন সুবাহ। ওই সময় সুবাহ বলেন, ইলিয়াসকে দেখতে তার সাবেক প্রেমিক ক্রিকেটার নাসির হোসেনের মতো। এর পর ইলিয়াসের মোবাইল নম্বর জোগাড় করে বারবার কল দেন। একপর্যায়ে কল রিসিভ করেন গায়ক। ফোনে তাদের আলাপের মধ্যে প্রেম হয়।
ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের জন্য নির্যাতন মামলা করেছেন নায়িকা সুবাহও। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলাও করেছেন তিনি।
সুবাহর অভিযোগ, ইলিয়াস তার প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই তাকে বিয়ে করেছেন। আর ইলিয়াসের অভিযোগ, তাকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন সুবাহ।
এ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের মাঝে গণমাধ্যমে সুবাহ বলেছিলেন, ইলিয়াসের কাছ থেকে মুক্তি চান তিনি।
ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুবাহ বলেছিলেন, ইলিয়াস আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন। আমি তার শাস্তি চাই, ওর বিচারের অপেক্ষায় আছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিয়ে করেন ইলিয়াস ও সুবাহ। বিয়ের পর সপ্তাহ পার না হতেই শুরু এ দম্পতির সংসারে ভাঙনের সুর বাজে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ‘বসন্ত বিকেল’ নামে একটি সিনেমায় অভিনয়ের জন্য যুক্ত হন সুবাহ। পরে অবশ্য আরও কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন তিনি। যদিও এখনও তার অভিনীত কোনো সিনেমাই মুক্তি পায়নি।
সংগীতশিল্পী হিসেবে ইলিয়াস হোসেন বেশ পরিচিতি পেয়েছিলেন। তার কণ্ঠে— ‘না বলা কথা’, ‘এক পলকে’, ‘নীল নয়না’, ‘সারাটি জীবন’ ইত্যাদি গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তবে অনেক দিন ধরে গান থেকে দূরে রয়েছেন তিনি। এখন তাকে রাজনীতির অঙ্গনেই বেশি দেখা যায়।