শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:০৮ pm
আসা-যাওয়ার পথে বেশ কয়েকটা টিসিবি’র গাড়ি চোখে পড়ে। লালবাগ কেল্লার সামনে একটা, স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানার সামনে একটা, গুলিস্তানে একটা। আর মতিঝিল সরকারি চাকরিজীবীদের কলোনি যেখানে; সেখানে একটা। পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার এখানে থাকে বেশিরভাগ গরিব-মধ্যবিত্ত শ্রেণি, আজিমপুর-গুলিস্তানেও টিসিবি’র লাইনে থাকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয়ে তাদের দীর্ঘ লাইন। মতিঝিল কলোনির ভিতরে বা তার আশেপাশে কারা থাকে এটা তো সকলেরই জানা। হঠাৎ হাঙ্গামা দেখে পরিস্থিতি আঁচ করার জন্য একটু দাঁড়ালাম। বুঝলাম টিসিবি’র গাড়িতে পণ্য সংকট; এ-কারণে কে আগে জিনিসপত্র নিবে সেই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার ভিতরে পরিচিত একজনও আছেন। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন– বাবারে, দাম লাগামহীন বাড়ায় আর পারছি না!
এই পৃথিবীতে কখনো চাহিদার কারণে পণ্যের অভাব তৈরি হয়নি বা দাম বৃদ্ধি পায়নি। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পুঁজিপতি ও ব্যবসায়ীদের চক্রান্তে এবং নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতায়। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে ক্রমেই চারদিকে নাভিশ্বাস উঠেছে, টিসিবি’র লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে জনরোষ। সুতরাং দায়িত্বশীলদের উচিত দ্রব্যমূল্য নিয়ে সচেতনভাবে কথাবার্তা বলা।
বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর ধাক্কা কাটিয়ে উঠছিল প্রায়। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। কমেছে আয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের এক গবেষণায় উঠেছে এসেছে করোনা পরবর্তী দারিদ্র্য সীমারেখার নিচে নেমেছে প্রায় ৪২ শতাংশ মানুষ। আবার এর বিপরীতে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের আয় বেড়েছে অস্বাভাবিক রকমের। সমাজে তৈরি হয়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্য। ঠিক এমন সময়ে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া হওয়ায় জীবন আর চলছে না। হাপিত্যেশ উঠেছে খোদ মধ্যবিত্তে। বিগত এক দশকের দাম বৃদ্ধির পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে চক্ষু সকলেরই চড়কগাছ হওয়ার যোগাড়।
সর্বশেষ তিন বছরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন পাল্লা দিয়ে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন গ্যাসের দুই চুলার মাসিক বিল ছিল ৪০০ টাকা। সেই দুই চুলার বিল এখন এসে ঠেকেছে ৯৭৯ টাকায়। নতুন করে প্রস্তাব করা হয়েছে ২ হাজার ১০০ টাকা করার। ডিজেলের মূল্য এক দশক আগে ছিল লিটারে ৪৪ টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ৩ দশমিক ৭৬ টাকা ছিল বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি মূল্য, এখন দিতে হচ্ছে ৭ দশমিক ১৩ টাকা করে। অর্থাৎ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ৯০ শতাংশ। একটা সাধারণ পরিবার প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে তার জন্য দশ বছরের ব্যবধানে হাজার টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।
২০০৮ সালে পানির ইউনিট ব্যয় ছিল ৫ দশমিক ৭৫ টাকা। ২০২১ সালে সেই পানির দাম হয়েছে ১৫ দশমিক ১৮ টাকায়। ধাপে ধাপে পানির দাম বাড়ানো হলেও বাড়েনি পানির মান। ঢাকার শহরে কোন কোন এলাকার পানি মুখে দেওয়াও মুশকিল; পুরান ঢাকার পানিতে ভাসে তেল, জুরাইনের যেন স্রেফ আলকাতরা। সেই পানির বিল বর্তমানে আবার বাড়ানোর তোড়জোড় চলছে।
ডিজেলের দাম বাড়ানোয় ইতোমধ্যে বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২৭ শতাংশ। ভাড়া এমনভাবে খুচরা টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে যে বাসগুলো যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে যাচ্ছে নিয়মিত। অর্থাৎ মালিক সমিতি তালিকায় ১৫ টাকা নির্ধারণ করলে বাসে নেওয়া হচ্ছে ২০ টাকা, ২৬ টাকা নির্ধারণ করলে নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা।
গ্যাস চালিত বাসে আগের ভাড়া রাখার কথা থাকলেও পরিবহনের খাতের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি; বরঞ্চ গ্যাস চালিত বাসগুলো নিজেদের ডিজেল চালিত বলে ঝুলিয়ে দিলো নোটিশ। এমনকি তালিকা নির্ধারণ হওয়ার পরে এটাও ধরা পরলো যে আগে থেকেই বাসগুলো বেশি ভাড়া নিচ্ছিলো। অনেক বাসে তো তালিকাই টাঙানো নেই।
কোন কোন বাসে তালিকা থাকলেও তা উঠিয়ে ফেলা হয়েছে। নিয়মিত গণপরিবহনে যাত্রীদের সাথে বাস শ্রমিকদের ঝগড়াঝাটি-কথার কাটাকাটি, মারামারিতে পর্যন্ত গড়ায়। অন্যদিকে বাজারে ২০২০ সালে যে মোটা চাল ৩৬ দশমিক ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটা এখন ৫০ টাকার উপরে; ২৪ টাকা কেজির খোলা আটা হয়েছে ৪৫ টাকা। যে চিনির কেজি বছর দুই আগে পাওয়া যেত ৬৬ দশমিক ৫০ টাকায়, গত বছর সেটা হলো ৭৯ টাকায়, বর্তমানে কিনতে খরচ হচ্ছে ৮৫ টাকা। ঠিক একেইভাবে ৫৫০ টাকার গরুর মাংস হয়েছে ৬৫০ টাকা; ৮৯১ টাকার এলপিজি গ্যাস কয়েক ধাপে বাড়তে বাড়তে ১ হাজার ২৪০ টাকা হয়ে এখন ১ হাজার ৩৯১। কিন্তু বাস্তবে এই সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকারও উপরে।
মোটকথা দুই বছরের মাথায় জনগণকে গচ্ছা দিতে হচ্ছে প্রায় ৬০০ টাকার মতো। বর্তমানে ২০০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেল। তেল-গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়লে যে সবকিছুর দাম বাড়তে বাধ্য তার সচক্ষে প্রমাণ মিলছে এ সপ্তাহের বাজার দরে। গত সপ্তাহের ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ একসপ্তাহের ব্যবধানে ৭০ টাকায় বিকিয়েছ। বেগুনের কেজি ৪০ থেকে হয়েছে ৬০; যে লাউ-কুমড়া গত সপ্তাহে ৫০ টাকায় পাওয়া যেতো, তা ৮০ টাকায় ছুঁয়েছে বর্তমান সপ্তাহ।
দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে খোলাবাজারে সয়াবিন ও পাম তেল বিক্রি বন্ধ হয়েছে। দফায় দফায় এমন বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। যাদের বোতলজাত তেল ক্রয়ের সামর্থ্য নেই তাদের শেষ ভরসা খোলা তেল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তেল বিক্রি সীমিত করে দিয়ে তৈরি করেছে কৃত্রিম সংকট, তৈরি হয়েছে বাজার সিন্ডিকেট।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলেছে তেলের বাড়তি দাম নিয়ে ১৫ দিনে প্রায় ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ অধিদপ্তরটি স্বীকার করেছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির নাম করে শুধু তেলের মাধ্যমেই শত কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।
প্রশ্ন দাঁড়ালো— এই টাকা তাহলে কার ঘরে গেল? জনগণের পকেট কাটার বিপরীতে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে, জনগণের একটু স্বস্তির লক্ষ্যে সরকার কি ব্যবস্থা নিলো? বার বার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে দাম বৃদ্ধির নকশা সাজানো হয়। আয়োজন করা হয় গণশুনানির। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না, রায়ে দাম না বাড়ানোর পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হলেও প্রতিবারই জুটে তামাশা। গ্রাম্য সালিশের মতো অবস্থা— সালিশ মানি, তাল গাছ আমার পরিস্থিতি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমে তখন দাম কমানোর নজির বাংলাদেশে নাই। এক জিনিসের দাম একবার বাড়লে তা যেন সাপের বর হয়ে আসে ব্যবসায়ী শ্রেণির।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির নেতিবাচক প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে সেটা হয়তো এই মুহূর্তে আমরা কল্পনা করতে পারছি না। কিন্তু একটু গভীরে তলিয়ে দেখলে দেখা যাবে স্থায়ী খরচগুলো যেমন— ঘর ভাড়া, যাতায়াত খরচ, বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল যখন কমানো যাচ্ছে না; তখন বাধ্য হয়ে খাবারের উপরে চাপ পরছে। খাবারের ব্যয় কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ যেমন— কৃষক, গার্মেন্টস শ্রমিক, রিকশা শ্রমিক, পাটকল শ্রমিক এবং হকারদের অবস্থা আরো শোচনীয়। ব্যয় বাড়লেও তাদের আয় বাড়েনি। ভালোমন্দ খাওয়া তো দূরের কথা, তিনবেলা ভাত খাওয়াই যেন তাদের দায় হয়ে উঠেছে এখন।
সামান্য ভর্তা ভাজি দিয়ে খেতেই তাদের পকেট খালি হয়ে যায়। খাওয়ার উপর যদি এভাবে চাপ বিদ্যমান থাকে, এর পরিণামে অপুষ্টিতে ভুগে এই সকল মানুষ এবং তাদের পরিবার সদস্যরা নানান রোগে রোগাক্রান্ত হবেন স্বাভাবিক। বেসরকারি মেডিকেলে চিকিৎসা তাদের জুটবে না; সরকারি মেডিকেলগুলোর খবর তো কমবেশি সকলেই অবগত। রোগশয্যায় তাদের জন্য না মিলবে উপযুক্ত চিকিৎসা, না মিলবে ঔষধপত্র আর না মিলবে পথ্য।
এক সময়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর কোলে ঢলতে বাধ্য হবেন। শিশুরা বেড়ে উঠবে অপুষ্টিতে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, ব্যয় মিটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টিকে থাকাও তাদের পক্ষে দুরূহ হয়ে উঠবে। সাথে সাথে বাড়বে বাল্য বিবাহ। প্রকট হচ্ছে বেকার সমস্যা, বাড়ছে হতাশা। অর্থনৈতিক কারণে সমাজে তৈরি হচ্ছে ঝগড়া-বিবাদ। পরিস্থিতি এরকম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে চুরি ডাকাতি যে বাড়বে না তারই নিশ্চয়তা কি!
সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং নীতিনির্ধারকেরা বলেছেন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলছে। পরিণামে বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। আবার কেউ কেউ বলছেন দাম বেড়ে যাওয়ার পিছনে বিএনপির কারসাজি আছে। তাহলে কথা হলো–রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট মাত্র কয়েকদিন আগে শুরু হলো, কিন্তু দাম বৃদ্ধির চক্রান্ত তো জটিল রূপ নিয়েছে বহু আগে থেকেই। রাজনৈতিক অঙ্গনে ভাটার টানে থাকা বিএনপির যখন এতোই তেজ, দাম বাড়াতে বিএনপির কারসাজি দায়ী হয়; তবে বারো বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার কি করে?
বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের যে লাগামহীন পরিস্থিতি সেটা রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে হয়ে থাকলে বিগত বারো বছরে পানির দাম ১৩ বার, বিদ্যুতের দাম ৬ বার, গ্যাসের দাম ৭ বার এবং তেলের দাম যখন খুশি তখন কেন বাড়লো? দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মন্ত্রী মহোদয় বললেন আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, তিনগুণ হয়েছে। তার চিন্তা আয়ের সাথে ব্যয়ের কাটাকাটি হয়ে আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য তৈরি হয়।
কথা হচ্ছে— জিডিপির সঙ্গে রেমিট্যান্স যোগ করে মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করে মাথাপিছু আয়ের হিসাব হয়। সে হিসেবে এই মুহূর্তে আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৫৯২ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ শিল্পপতির সাথে শিশু, বৃদ্ধ, জেলে, রিকশাওয়ালা এবং বেকার যুবকের গড়। এই অঙ্কের হিসাব যে সকল মানুষের আয় নয়, শ্রমিকের আয় না বেড়ে যে ব্যয় বেড়েছে এইটা তাকে কে বুঝাবে!
করোনা এবং যুদ্ধ পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা বিপর্যস্ত করেছে এটা ঠিক। তার চেয়ে বড় সত্য— আমাদের পার্লামেন্টগুলোতে রাজনীতিবিদ নাই, রাজনীতিতে কাজ করছে এক ধরনের শূন্যতা। চোখের অলক্ষ্যে টাকার জোরে রাজনীতিতে ব্যবসায়ী শ্রেণির আবির্ভাব হয়েছে। ব্যবসায়ী তার নিজস্ব ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টা করবে, দিন শেষে লাভ-লোকসানের হিসাব কষে বাসায় ফিরবেন এটাই তো স্বাভাবিক। তার প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মূল্য বাড়লে তার লাভ বেশি হবে এটা তারা ভালো করে জানেন।
মূল্য বৃদ্ধিতে কে মরলো আর কে বাঁচলো সেটা দেখার ফুরসৎ তাদের নেই। পার্লামেন্টের কথা বাদই দিলাম, কমিউনিস্ট রাজনীতির শীর্ষ নেতৃত্বেও খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত নেতাদের স্থান সংকুলান হয় না। যার পেটে ক্ষুধা যন্ত্রণা নাই সে ক্ষুধার মর্ম বুঝবে কি করে! ফলে কমিউনিস্টেরাও গতানুগতিক দায়সারা কর্মসূচি দিয়ে বিদায় হয়। দায়সারা গোছের কর্মসূচি কর্মসূচি খেলাতে জনগণের পক্ষে কোন প্রভাব থাকে না, যা হয় তা কেবল লোক দেখানো।
এই পৃথিবীতে কখনো চাহিদার কারণে পণ্যের অভাব তৈরি হয়নি বা দাম বৃদ্ধি পায়নি। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পুঁজিপতি ও ব্যবসায়ীদের চক্রান্তে এবং নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতায়। দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতিতে ক্রমেই চারদিকে নাভিশ্বাস উঠেছে, টিসিবি’র লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে, পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে জনরোষ। সুতরাং দায়িত্বশীলদের উচিত দ্রব্যমূল্য নিয়ে সচেতনভাবে কথাবার্তা বলা, যথাসম্ভব দ্রুত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা এবং এরশাদ সরকারের বন্ধ করে দেওয়া রেশনিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা।
মাথাপিছু আয়ের অবাস্তব-অলৌকিক বৃদ্ধিতে যদি দ্রব্যমূল্য বাড়ে সে মাথাপিছু আয় আমাদের দরকার নেই। মুষ্টিমেয় সংখ্যক যাদের আয় অস্বাভাবিক বেড়েছে তাদের হাঁড়ির খবর নোওয়া হোক। সকলের সৎগতি কামনা। সূত্র : জাগোনিউজ, লেখক : প্রাবন্ধিক, ঢাকা।