নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় গৃহহীনদের জন্য তৈরী হচ্ছে আধাপাকা ৫৬টি নতুন ঘর। ঘরের নির্মান কাজ শেষ হলেই চাবি ও দলিল বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য তৈরী হচ্ছে এই ঘর।
জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে চলতি অর্থ বছরে প্রতিটি ঘরের জন্য দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে গড়গড়ি ইউনিয়নের খানপুর নিচপলাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫৬টি নুতন ঘর নির্মান কাজ চলছে। তৃতীয়ধাপে ইতিমধ্যেই ৩০টি ঘরের কাজ সম্পূন্ন হয়েছে। ২৬টি ঘরের কাজ শুরু করা হয়েছে।
২০২০-২০২১ অর্থ বছরে খানপুর নিচপলাশি আশ্রয়ণ প্রকল্প প্রতিটি ঘরের জন্য এক লক্ষ ৯১ হাজার টাকা ব্যয়ে আধাপাকা ঘর ১৯টি পরিবকারের মধ্যে আনুষ্টানিকভাবে দলিল ও চাবি তুলে দেওয়া হয়। এই ঘরে থাকছে বারান্দা, টয়লেট, রান্না ঘর। এই ঘর ইটের গাঁথুনি, প্লাস্টার, রঙিন টিনের চালাসহ অন্যান্য কাজ চলছে।
এ বিষয়ে মালেকা খাতুন জানান, আমার যে জমি ছিল কয়েক বছর আগে পদ্মা নদীতে ভেঙে গেছে। তারপর থেকে ছন্নছাড়া হয়ে এখানে সেখানে বসবাস করছি। খানপুর নিচপলাশি আশ্রয়ণ প্রকল্পের যে ঘর নির্মান হচ্ছে, সেখানে আমার নামে একটি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। ঘরে উঠতে পারলে পরিবার পরিজন নিয়ে রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়ের সঙ্গে আর লড়াই করতে হবে না। সরকারের পাকা ঘর পেলে শান্তি পাওয়া যাবে।
আগের ঘর পাওয়া ১৯ পরিবারের মধ্যে ৩৩ নম্বর বাড়ির মালিক আবদুল মজিদ, ৩৪ নম্বর বাড়ির মালিক জমসেদ আলী, ৩৯ নম্বর বাড়ির মালিক সিমা বেগম, ৪৫ নম্বর বাড়ির মালিক রুবিনা বেগম, ৪৪ নম্বর বাড়ির মালিক রুমা খাতুন, ৪৮ নম্বর বাড়ির মালিক রেহেনা খাতুন, ৪৩ নম্বর বাড়ির মালিক আশা খাতুন, ৪০ নম্বর বাড়ির মালিক চম্পা খাতুন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পে আমরা যারা বসবাস করি, আমরা খুব দরীদ্র মানুষ। আমরা দিন আনি দিন খায়। সকালে কাজে বের হয়, আর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসি। সারাদিন বাইরে থাকি। তবে এক বেলা না খেলেও সরকারের দেওয়া এই ঘরে শান্তিতে বসবাস করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়হারা ব্যক্তিদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাদের জন্য ঘর বরাদ্দ হয়েছে তারা অধিকাংশই পদ্মার ভাঙ্গনে সহায় সম্বলহারা খুব দরীদ্র মানুষ। অল্প দিনের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ঘর নির্মাণ কাজ শেষে গৃহহীনদের জমির মালিকানা দলিল ও চাবি হস্তান্তর করা হবে। আজকের তানোর