শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৭:৫৭ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : আমের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীতে গত বারের চেয়েও চলতি মৌসুমে বাম্পার আম উৎপাদন হবে বলে মনে করছেন এখানকার ফল বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এরইমধ্যে মুকুল থেকে অনেক গাছে গুটিও এসেছে। এ মৌসুমে রাজশাহীতে আমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিকটন। যা গত বছরের চেয়ে আড়াই হাজার মেট্রিকটন বেশি। আর এটি হলে অতিতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল আলীম জানান, এবার রাজশাহীতে ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। যা গতবার ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর। গতবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৮৩ মেট্রিকটন। তবে সে লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর গতবারের চেয়ে ৫৭২ হেক্টর বেশি জমিতে আম চাষ হওয়ায় চলতি মৌসুমে উৎপাদন ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, ‘এবার হেক্টর প্রতি গড়ে ১৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিকটন হারে আম উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। সেই হিসেবে এবার আমের উৎপাদন গত বারের চেয়ে অনেক বেশি হবে। এমনকি এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আম উৎপাদন হতে পারে। যদিও আমের মুকুল কিছু কিছু গাছে কম আছে। তবে আমের চাষাবাদ বেশি হওয়ায় সেটি পুষিয়ে যাবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকার ওপর।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার আম চাষি সুমন সরকার বলেন, আমাদের এলাকার প্রায় প্রতিটি গাছেই এবার প্রচুর পরিমানে মুকুল দেখা দিয়েছে। যদি প্রাকৃতিক কোন দূযোর্গের কবলে না পড়ে তাহলে এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে অনেক ভাল হবে বলে আশা করছি। আর সে আশায় সকলেই আম গাছের পরিচর্যা করছে।
তবে বানেশ্বরের আম চাষি রবিন বলেন, এবার কোনো গাছে আমের মুকুল প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। আবার কোনো গাছে তেমন নাই। তবে এখনো মুকুল আশার সম্ভাবনা আছে। তাই এখনই কোন মন্তব্য করা ঠিক হবেনা। তবে আমাদের এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি বলতে যদি নতুনভাবে মুকুল না আসে সেক্ষেত্রে এখানে এবার আমের উৎপাদন কম হবে বলে মনে করছি।
পুঠিয়ার তারাপুর এলাকার আরেক আম চাষি আশরাফুল বলেন, গত কয়েক বছর রোজার মাসে আম পেকে যাওয়ায় দাম কম পেয়েছি। সেই সাথে ছিল করোনার থাবা। তবে এবার ওইসব বিষয় না থাকায় ভালো কিছু আশা করছি। তবে সব কথার এক কথা সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহতায়ালা চাইলেই এই আশা পুরণ হওয়া সম্ভব, নয়তো, নয়।
আরেক আম চাষি মান্নান সরকার বলেন, সামনের দিনগুলোই হচ্ছে আম বা আম জাতীয় সকল ফলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সময়। কারণ, এ সময় গুলোতে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হয়। যদিও এবার এখন পর্যন্ত দূর্যোগ দেখা যায়নি। আল্লাহতায়ালা যদি আবহাওয়া অনুকুলে রাখেন তাহলে এবার আমের উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা যায়। আজকের তানোর