তিনি টিকা গ্রহণকারীদের পরিচয় পত্র প্রদানের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা আইডি কার্ডের মতো থাকতে হবে কারা করোনাভ্যাকসিনটা নিল। এটা দেখিয়ে দ্বিতীয় ডোজটা নিতে হবে এবং সেই আইডেনটিটিটা তাদের কাছে থেকে যাবে, তাহলে কেউ বিদেশে গেলে তারা যে করোনাভ্যাকসিন নিয়েছে তার প্রমাণটা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা নেওয়ার বিষয়ে গ্রামাঞ্চলে মানুষের মাঝে এখনো একটু দ্বিধা থাকলেও সেটা চলে যাবে ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, করোনা টিকার সেকেন্ড ডোজের জন্য ৮ থেকে ১২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। লন্ডনে সেভাবেই করা হচ্ছে; এজন্য ১৫ দিনের মধ্যে সেকেন্ড ডোজের টিকা যে নিতে হবে তা নয়, অন্তত তিন মাস পর্যন্ত এ কার্যকাররিতা থাকে, সেকেন্ড ডোজ নেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি দ্রুতই সেকেন্ড ডোজটা দিয়ে দেওয়ার। আমি বলেছি একমাস বা দুইমাসের মধ্যে সেকেন্ড ডোজ দিয়ে এগুলো শেষ করার। কারণ ভ্যাকসিনের যেন ডেট পেরিয়ে না যায় সেটাও দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনী এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের জন্য টিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের নিয়ে এসে তাদের দ্রুত (টিকা) দিয়ে দিতে হবে এবং এটা একটু বলে দিতে হবে (সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের যত পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন, তাদের সবাইকে এই টিকা দিতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ফ্রন্ট লাইনার, তাদের আগে দিতে হবে। এরমধ্যে চিকিৎসক বা চিকিৎসার সঙ্গে সম্মৃক্ত যারা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীগুলো এবং যারা এই কোডিড মোকাবেলায় সক্রিয় ছিল তাদেরকে আগে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দলের নেতা-কর্মীরা এবং ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের ভলান্টিয়াররা জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল, যথেষ্ট কাজ করেছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী আক্রান্তও হয়েছে এবং মারা গেছে তারাই সবচেয়ে বেশি। কাজেই তারা রেজিস্ট্রেশন করলে টিকা নিতে পারবে।
‘এখন আরেকটু ওপেন করে দেওয়ার নির্দেশনাও আমি দিয়েছি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্র : অনলাইন। আজকের তানোর