সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:১৯ am
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে সরকারি খাস জায়গায় থাকা মুকুলে ভরা আমগাছ কর্তন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাধাইড় ইউপির ঝিনাখৈর ডাকাতমারী পাড়ায় ঘটেছে এমন অমানবিক ঘটনা। এঘটনায় ওই এলাকাসহ আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ। সেই সাথে গাছ বিক্রির মূলহোতা স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ও আলমগীরের চরম শাস্তির দাবি উঠেছে।
এদিকে, স্হানীয় বাসিন্দাদের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্ডুমালা তহসিলদার গাছকর্তন বন্ধ করে দেন। কিন্তু মুকুল আসা দশটির মত গাছ কাটলেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় হতাশ হয়েছেন স্হানীয়রা।
রোববার সন্ধ্যার আগে ঘটনাস্হলে গিয়ে দেখা যায়, মাঝে রয়েছে মাটির রাস্তা। পূর্ব দিকে খাস পুকুর। মাটির রাস্তার পশ্চিমে রয়েছে একটি টিনের বাড়ি।রাস্তার দুপাশে মুকুলে ভরপুর অর্ধশতেরও বেশি আমগাছ। সেখানে কিছু কিশোর এবং মহিলারা এই প্রতিবেদককে দেখে কাছে আসেন। তাদের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, গাছগুলো কেটেছেন জয়নাল আবেদিন পরিচিত ঝুনু নামের একব্যক্তি। কিন্তু কয়েক দিন ধরে গাছ কাটা বন্ধ আছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। তারপরও গাছগুলো কেটে মরুপ্রান্তর করা হয়েছে। গাছগুলোই পাড়ার মানান হিসেবে ছিল। সব সময় পাখির কলহ লেগেই থাকত।
ঝিনাখৈর মোড়ে রয়েছে ঝুনুর দোকান। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় খাস জায়গার গাছ কিভাবে বিক্রি এবং কাটা হল তিনি জানান, পুরোটা খাস না।গাছগুলো বিক্রি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল। তিনি কার কাছে কিভাবে বিক্রি করে কাটছেন আমি কিছুই জানি না। ৫৪টির মত গাছ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে শফিকুল এর বেশি জানি না। এর ফাঁকেই আসেন আরেক নামধারী নেতা আলমগীর। তিনি জানান, ঝুনু আমার আপন খালু। তিনিই গাছগুলো লাগিয়েছেন। কিছুটা খাস আছে। আমের জাত ভালো না এজন্য বিক্রি করেছে। আর আমার খালু বয়োজ্যেষ্ঠ সবকিছু শফিকুল করেছে বলে জানান তিনি।
সোমবার সকালের দিকে শফিকুলের ০১৭৩৫-৯৪৬৫১৬ নম্বর মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার জায়গা। আমি কেন গাছ কটতে বলব বলে এড়িয়ে যান তিনি।
উপজেলার মুন্ডুমালা ভূমি অফিসের তহসিল অফিসের তহসিলদার রবিউল ইসলাম জানান, রোববারে ঘটনাস্হলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করা হয়েছে। জায়গা জরিপের পরে বোঝা যাবে। কতদিনের মধ্যে জায়দা জরিপ হবে এবং যে কয়টি গাছকাটা হয়েছে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এসিল্যান্ড স্যারকে বলা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে। আজকের তানোর