মঙ্গবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:০২ pm
সিনেমা-নাটকের চেয়েও দ্রুত ঘটে চলেছে ইউক্রেনের ঘটনাবলি। বিশ্বের একক পরাশক্তি বলে কথিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বহু আগেই বলে দিচ্ছিলেন কবে কখন পাশের স্বাধীন প্রজাতন্ত্র গণতান্ত্রিক ইউক্রেনে সাবেক পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের অবশিষ্টাংশ রাশিয়া হামলা করবে। আর তা করা হবে না বলে বিশ্বকে জানাচ্ছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।
তবে একলাখ সেনা সমাবেশ তিনি ঘটিয়েছিলেন ইউক্রেন সীমান্তে। যুদ্ধে সত্যি কথার দাম নেই পুতিন সেটা জানতেন, হয়তো সে জন্যই সত্যটা তিনি বলেননি। সোভিয়েত অস্ত্র বহর রাশিয়ার হাতে তো রয়েছেই, তার আর ভয় কি? বিশ্লেষকরা বলছেন, মানুষের খাদ্য দূরে থাক পশুখাদ্যও উৎপাদন ও যোগান দিতে পারছিল না কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন। কমিউনিস্ট পার্টির ‘বিগ ব্রাদার’রা বা পার্টি নেতারা কাজ করতেন না, শত্রু মানে আমেরিকা বিনাশে কোল্ড ওয়ারেই বেশি তৎপর ছিলেন।
ফলে যা হবার তাই হয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে শেষ সোভিয়েত নেতা মিখাইল গরবাচেভ পেরেস্ট্রয়কা আর গস্নাসনস্তের কথা বলে ১৯৯১ সালে ভেঙে দেন সোভিয়েত ইউনিয়ন, স্বাধীন হয় ১৫টি অঙ্গীভূত প্রজাতন্ত্র। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বরিস ইয়েলৎসিন। তার পথ ধরে শেষে ‘গণতান্ত্রিক’ রাশিয়ার ক্ষমতায় আসেন কমিউনিস্ট আমলের গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির এক সময়ের অফিসার ভস্নাদিমির পুতিন। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে পুতিন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে রুশ প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করার প্রেক্ষাপটেই তার এই দায়িত্ব গ্রহণ। এরপর নির্বাচনে জয়ী হয়ে গণতান্ত্রিক পন্থাতেই তিনি আবার ক্ষমতায় আসেন।
কিন্তু হয়ে ওঠেন অগণতান্ত্রিক। কিছুদিন প্রেসিডেন্ট, কিছুদিন প্রধানমন্ত্রী আবার প্রেসিডেন্ট এই করে আছেন ২০ বছরের বেশি সময় ধরে। এর মধ্যে জর্জিয়া, ইউক্রেন, বেলারুশ ও মধ্য এশিয়ার সোভিয়েতভুক্ত মুসলিম প্রজাতন্ত্রগুলো আলাদা হয়ে যায়। তবে স্বাধীন হতে পারেনি। স্বাধীন বলতে ছিল ইউক্রেন। এটাই তার জন্য কাল হলো। আমেরিকাসহ পশ্চিমা শক্তি পাশে দাঁড়ালো ইউক্রেনের। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও তাদের সামরিক জোট ন্যাটো সদস্য হতে চাইল ইউক্রেন। এতেই বাদ সাধলেন পুতিন। রাশিয়ার শান্তি এতে বিঘ্নিত হবে এ তার যুক্তি। এ যুক্তিতে কি ২০২২ সালে এসে পাশের একটি স্বাধীন দেশে হামলা করা চলে? প্রথমে না না করলেও শেষ পর্যন্ত বাইডেনের কথাই সত্যি হলো।
আজ অষ্টম দিনের যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে কিন্তু পশ্চিমা শক্তি বা আমেরিকা কার্যকরভাবে ইউক্রেনের পাশে নেই। এত বড় রুশ সেনা বহরের মোকাবেলার শক্তি কিন্তু মাত্র সোয়া চার কোটি জনসংখ্যার দেশ ইউক্রেনের নেই। তবু তারা দেশ রক্ষায় সাহসের সাথে লড়ে চলেছে। আর প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়েছেন ৭ লাখ ইউক্রেনবাসী, প্রধানত নারী ও শিশু। এই সংখ্যা এক মিলিয়ন বা ১০ লাখে পৌঁছতে পারে। বসনিয়া যুদ্ধের পর ইউরোপে এ রকম বিপর্যয়কর অবস্থা আর দেখেনি বিশ্ব। কয়েকটি শহর দখল করে রাজধানী কিয়েভ কব্জা করতে চাইছে রুশ বাহিনী। বিভিন্ন ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে বলে জানা যাচ্ছে। ইউক্রেন সেনারা আপাতত ঠেকিয়ে রেখেছে কিয়েভমুখি রুশ বাহিনীর অগ্রাভিযান। কিন্তু কতক্ষণ। এই হলো ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের সর্বশেষ খবর।
আমেরিকা আর পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাব শুরুর আগেই হয়তো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রুশ পতাকা উড়বে। ইউক্রেনের দোষ সে কেন রাশিয়াকে ছেড়ে পশ্চিমা শক্তির বন্ধু হতে গেল। ন্যাটোতে, ইইউতে যোগ দিতে চাইছে। পাশের দেশ বেলারুশের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে রুশ বলয়ে থাকলে তো এসব হতো না। যেমন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট একনায়ক লুকাশেংকো বিরোধী দলগুলোকে পুতিনের মতো দু পায়ে দলে দেশ শাসন করছেন। এটা থেকে সে শিক্ষা নিল না কেন।
দু’দিন আগের খবর, প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিন তার পারমাণবিক স্থাপনাকে সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশনা জারি করেছেন। তার মানে কি কনভেশনাল ওয়ারে সুবিধা করতে না পারলে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবেন? সমরবিদরা অবশ্য তার সম্ভাবনা দেখছেন না। কারণ পরমাণু অস্ত্রের চাবি একা পুতিনের হাতে নেই। তার জেনারেলদের সাথে পরামর্শ করে এ পথে যেতে হবে। আর পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে বিশ্বকে নতুন একটা বিপর্যয়ে ফেলবেন পুতিন এটাও তারা মনে করছেন না। কি হয় আগামীই বলে দেবে। এর আগে তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে আমেরিকার প্রতি একই ধরনের হুমকি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ইউক্রেনে এলে আপনারা এমন পরিণতি দেখবেন যা অতীতে কোনো সময় দেখেননি। এসব হুমকি যে পুতিন মুখে মুখে উচ্চারণ করে চলেছেন এমনই নয়, তিনি ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ প্রস্তুতি ও মহড়ায় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইস্কান্দ্রিয়া ও সুপারসনিক সমরাস্ত্রও উপস্থিত করেছেন। আবার এও ঠিক ওয়ার্ম আপ হিসেবেও তিনি একথা বলতে পারেন।
আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের পাশে সর্বাত্মকভাবে থাকার প্রতিশ্রম্নতি দিলেও শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনে সেনা না পাঠানোর তার ঘোষণার পেছনে তিনি পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে চেয়েছেন বলেই উলেস্নখ করা হচ্ছে। বাইডেন অবশ্য পরে প্রকাশ্যেই স্বীকার করেছেন যে, ‘আমার সামনে দু’টি পথ ছিল। একটি হলো ইউক্রেনে সেনা পাঠিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটানো। আর অন্যটি হলো অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পুতিনের ধ্বংসকারী যুদ্ধ করার ক্ষমতাকে হ্রাস করা। আমি শেষোক্ত পথটিই বেছে নিয়েছি’।
ভস্নাদিমির পুতিনের আচরণকে অনেকেই ১৯৩০-এর দশকে এডলফ হিটলারের সিনড্রম বলে মত দিয়েছেন। হিটলার সে সময় যে ধরনের অজুহাত তুলে অস্ট্রিয়া চেকোস্স্নোভাকিয়া, পোল্যান্ড এবং অবশেষে রাশিয়া আক্রমণ করেছিলেন ঠিক সেভাবে পুতিন একের পর এক জর্জিয়া, বেলারুশ, কাজাকিস্তান, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছেন। সবশেষে পাশ্চাত্যকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছেন।
আগেই বলেছি এই হুমকি এমন একসময় পুতিন দিলেন যখন গতানুগতিক লড়াইয়ে রাশিয়ান সেনাবাহিনী পরিকল্পনানুসারে ইউক্রেনকে জয় করতে সক্ষম হচ্ছে না। এভাবে সামরিক ক্ষয়ক্ষতি ও বিপর্যয়ে পড়লে পুতিন সিরিয়া ও চেচনিয়ার মতো বিধ্বংসী অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারেন বলে মনে হয়। একই সাথে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার যে হুমকি পুতিন দিয়েছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।
পুতিন সম্ভবত স্বপ্ন দেখছেন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্তৃত্ব ফিরে পেতে। এজন্য সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের দেশগুলোতে একের পর এক শাসন পরিবর্তন প্রচেষ্টা, সেনা প্রেরণ ও অনুগত করার পদক্ষেপ নিচ্ছেন। একই সাথে নজর রাখছেন পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিও। ইউক্রেনের ব্যাপারে তিনি পরিষ্কার বলেছেন, রাষ্ট্র হিসেবে এর টিকে থাকার অধিকার নেই। জর্জিয়া বা বেলারুশ এমনকি মধ্য এশিয়ার অন্যান্য প্রজাতন্ত্রের ব্যাপারেও তার দৃষ্টিভঙ্গি একই রকম। তিনি যেভাবে এগোচ্ছেন তাতে বাধা না পেলে তিনি জারের রুশ প্রজাতন্ত্রের মতো একটি সর্বাত্মকবাদী উগ্র জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবেন, যার প্রত্যাশা থাকবে সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো ক্ষমতাধর হওয়া। রাশিয়ার অর্থনীতি এ ধরনের একটি প্রভাবশালী সমরাজ্য প্রতিষ্ঠার উপযুক্ত না হওয়ার কারণে চীনের সাথে তিনি বোঝাপড়া তৈরি করেছেন। একই সাথে আমেরিকাবিরোধী যেসব দেশ এশিয়া আফ্রিকা বা লাতিন আমেরিকায় রয়েছে সেগুলোকে নিয়ে আলাদা বলয় তৈরি করছেন। তার মানে দাঁড়াচ্ছে পুতিন আর পশ্চিমা প্রধান বিশ্বব্যবস্থার অংশ হিসেবে থাকতে রাজি নন। তিনি নতুন এক বিশ্বব্যবস্থা নির্মাণ করতে চান অথবা পশ্চিমা নিয়ন্ত্রণের বাইরে এমন এক বলয় তৈরি করতে চান যেখানে সমান্তরাল বৈশ্বিক অর্থ ও বাণিজ্যব্যবস্থা কার্যকর হবে। তিনি সফল হবেন কিনা সময়ই বলে দেবে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রাইমিয়া দখল করার পর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর গত ছয় বছরের বেশি সময় নিষেধাজ্ঞার মধ্যে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করেছে রাশিয়া। পুতিন জানতেন, ইউক্রেন দখলে কোন অভিযান চালালে পশ্চিমা দেশগুলো সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করতে পারে। যুদ্ধের প্রথম চার-পাঁচ দিনের গতি-প্রকৃতি দেখে ইউরোপ রুশ আগ্রাসনের ব্যাপারে প্রচন্ডভাবে ভীত হয়ে পড়েছে। ফলে রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ অথবা সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করার পদক্ষেপ গ্রহণে তারা এগিয়ে যায়। এসব পদক্ষেপের প্রভাব ইউরোপীয় অর্থনীতিতে পড়ার আশঙ্কা থাকার পরও সব দেশই শেষ পর্যন্ত সে পথেই গেছে। সুইফটের সিস্টেম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ফলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে রাশিয়ান অর্থনীতির ওপর।
ইউক্রেনে রাশিয়ান অভিযানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি এবং আমরা জানি না কখন হবে। যুদ্ধ ক্ষেত্রে স্থলভাগে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে প্রতিদিনই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। এমনকি সবচেয়ে উদ্যমী সামরিক বিশ্লেষকরাও যুদ্ধ সম্পর্কে অনুমান ও ভবিষ্যদ্বাণী প্রদানে সতর্কতার সাথে মন্তব্য করছেন। রাশিয়ান এই অভিযান স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর থেকে রাশিয়া ও ন্যাটোর মধ্যে সবচেয়ে বাজে সংঘাতের সৃষ্টি করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে ইউক্রেনীয় সংঘাত ন্যাটো সদস্যদের ঐক্যকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। এমনকি যারা ন্যাটোকে ‘মৃত’ বলতেন, যারা ট্রান্স-আটলান্টিক জোট সম্পর্কে প্রায়ই কথা বলতে শুরু করেছিলেন, তারাও এখন ন্যাটোর প্রয়োজন বিশেষভাবে উপলব্ধি করছেন। দ্বিতীয়ত, পশ্চিমারা কীভাবে অন্যান্যের বিরুদ্ধে তার প্রতিরোধ কৌশল প্রণয়ন করবে তারও নতুন আকার দেবে এই সংঘাত। স্পষ্টতই, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের আগে নিষেধাজ্ঞার হুমকি পুতিনকে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু থেকে বিরত রাখতে পারেনি। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়, কারণ পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টদের হুমকি ও সতর্কবার্তা সিরিয়ার বাশার আসাদকে তার নিজের দেশের নাগরিকদের হত্যা করা থেকেও বিরত করেনি। ‘রেড লাইন’ বিবৃতি এবং এর পরে যা ঘটেছিল তাতে বিশ্বজুড়ে অনেকে বিশ্বাস করেছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা যা বলেন তা সব সময় করেন না। মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক এই যুদ্ধের দ্বারা প্রভাবিত হবে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়া থেকে গ্যাসসহ জ¦ালানি সম্পদ আমদানি করে। ৪০ শতাংশের বেশি প্রাকৃতিক গ্যাস এবং প্রায় ২৫ শতাংশ তেল সরবরাহ করে। এই সংকটের পরে উভয় পক্ষই বিপদে পড়বে। জার্মানিসহ দেশগুলো গ্যাসের কারণে সংকটে পড়বে। তারপরও তারা রাশিয়ার সাথে পাইপলাইন চুক্তিসহ সরবরাহ চুক্তি ভেঙে দিয়েছে। এর মানে কনসিকুয়েন্সটা উভয়মুখী হবে আর জ¦ালানিমূল্য বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে ভুগতে হবে বাকি বিশ্বকেও।
বেলারুশের সীমান্তে ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনা চলছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির জেলেনস্কি ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনলাইনে আবেগঘন ভাষণ দিয়ে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন। দু-একদিনে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা না হলেও এর প্রতিক্রিয়া সারা বিশ্বের জন্যই মারাত্মক হতে পারে। আহমদ মতিউর রহমান : প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক, সূত্র : এফএনএস