রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৩ am
শাকিল হোসেন, নিয়াতমপুর (নওগাঁ) : নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় সরিষা চাষের শুরুর দিকে তিন-চার দিনের টানা বৃষ্টি আর ঘন কুয়াশায় কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। লাভ হোক আর লোকসান হোক, বুকভরা আশা নিয়ে চাষে লেগে থাকতেন তাঁরা। তবে, শত উদ্বেগ পেরিয়ে এবার উপজেলায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। দাম ভালো পাওয়ায় খুশি কৃষক।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ হাজার ৪৮০ মেট্রিক টন। তবে, এ মৌসুমে সব মিলিয়ে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।
নিয়ামতপুর হাটে সরিষা বিক্রি করতে আসা বেলগাপুর গ্রামের কৃষক মধুসূদন বর্মণ জানান, দুই বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছিলেন তিনি। ফুল দেখেই বোঝা যাচ্ছিল এবার ভালো ফলন হবে। তবে, বৃষ্টি হওয়ায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এতে ফলনের ক্ষতি না হলেও পোকার আক্রমণ ছিল। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় চাষের কষ্ট কমে গেছে তাঁর।
নওগাঁ জেলা থেকে সরিষা কিনতে আসা মেসার্স দা অ্যান্ড রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী দীপক কুমার রায় বলেন, এ বছরই প্রথম নিয়ামতপুরে সরিষা কিনতে এসেছেন তিনি। এত আমদানি হবে তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। মূলত মজুত করে রাখার জন্য এবং বড় পাইকারের কাছে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরিষা কিনছেন বলে জানান তিনি।
উপজেলা সদরের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সরিষা ব্যবসায়ী মোকলেস বলেন, এবার আমদানি ভালো হওয়ায় খুচরা কিনে ভালোভাবে শুকানোর পরে পাইকারিতে বিক্রি করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ বছর আমদানির পরিমাণ কয়েক বছরের তুলনায় বেশি হওয়ায় খুলনা, নওগাঁ, মহাদেবপুর এবং সান্তাহারের পাইকারেরা যোগাযোগ রাখছেন। বর্তমানে কাঁচা সরিষা ২ হাজার ২০০ টাকা এবং শুকনো সরিষা সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৫০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সরিষা উৎপাদন হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষক সরিষা চাষে ঝুঁকি নিয়েছেন। এ ছাড়া দাম ভালো পাওয়ায় খুশি তাঁরা। আবাদ বেশি হওয়ায় এ বছর সরিষা থেকে ১ হাজার ১০০ কেজি মধু উৎপাদিত হয়েছে। আজকের তানোর