সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:৫৯ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর পুঠিয়ার শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে আবারও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। তদন্তে মূল এজাহার আমলে না নেওয়ার পক্ষে পিবিআই কর্মকর্তা মো. শামীম আক্তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হলে আদালত এই অসন্তোষ জানান।
তদন্ত কর্মকর্তার উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, কীভাবে এ মামলা তদন্ত করতে হবে, সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে এজাহারকে আমলে না নিয়ে আপনি তদন্ত সম্পন্ন করেছেন। কীভাবে এত বড় দুঃসাহস দেখালেন?
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের দ্বৈত বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ মন্তব্য করেন। এর আগে হাইকোর্টের তলব আদেশে হাজিরা দেন তদন্ত কর্মকর্তা শামীম আক্তার। তার আইনজীবী এসএম শাহজাহান আদালতে বলেন, এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ‘আপনি তো হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছেন।’
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আরেকবার সুযোগ দিলে অধিকতর তদন্ত করব।’ আদালত বলেন, ‘আপনি যেভাবে তদন্ত করেছেন, তাতে আসামিদের সাহায্য করে মামলার বাদীকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। যেখানে হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, সেটি লঙ্ঘন করে আপনি মনগড়া তদন্ত করেছেন। কেন এতবড় দুঃসাহস দেখিয়েছেন?’
পুঠিয়ার সড়ক ও পরিবহন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন নুরুল ইসলাম। নির্বাচনের ফল কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বীরা ২০১৯ সালের ১০ জুন তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নিগার সুলতানা আটজনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু সেই এজাহারটি লিপিবদ্ধ না করে ওই থানার তৎকালীন ওসি সাকিল উদ্দিন আহমেদ ছিঁড়ে ফেলেন।
পরে সাদা কাগজে বাদীর সই রেখে নিজেরাই একটা এজাহার বানিয়ে তা থানায় লিপিবদ্ধ করেন যা পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিচারিক অনুসন্ধান কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসে। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন্সকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট বলেন, আদালত প্রত্যাশা করে যে পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার মামলাটি তদন্ত তদারকীতে বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।
পিবিআইকে তদন্তকালে সংবাদদাতার মূল এজাহারের বর্ণনা, রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অনুসন্ধান রিপোর্ট ও ওই অনুসন্ধান কার্যক্রমে সাক্ষীদের সাক্ষ্য বিবেচনায় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। কিন্তু হাইকোর্টের এ নির্দেশনা না মেনেই তদন্ত সম্পন্ন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের শামীম আক্তার। এই মামলার আসামি আবুল কালাম ওরফে আবু জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই জামিন আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট নির্দেশনা না মেনে তদন্ত করার বিষয়টি দেখতে পান। এর পরই তদন্ত কর্মকর্তাকে তলবের পাশাপাশি এ বিষয়ে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। আজকের তানোর