নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোরে কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) কেশরহাট-কামারগাঁ রাস্তার ধারে উজল্যাকুড়ি গ্রামে সরকারি খাস সম্পত্তির গাছ নিধন ও জবর-দখল করে পাকাঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে, সরকারি সম্পদ রক্ষায় জনস্বার্থে জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ইউপি ভুমি অফিসে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ২৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার স্থানীয় ইউপি সদস্য বকুল বাদি হয়ে শিক্ষক নিখিল রঞ্জনের বিরুদ্ধে এই লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু জবর-দখল ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে। এতে এলাকায় চরম অসন্তোষ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ করছে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি। যেকোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বা খুন-জখমের মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে সাধারণ মানুষ সঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার কামারগাঁ ইউপির আমিরপুর মৌজার এক নম্বর খতিয়ানভুক্ত দাগ নম্বর ৪৭১, ৪৭২, ৪৭৩, ৪৭৪ ও ৪৭৬ পাঁচটি দাগে মোট ১৫ শতক সম্পতি খাস। যার শ্রেণী ডহর। উক্ত সম্পত্তি জবর-দখল ও গাছ কেটে সেখানে পাকাঘর নির্মাণ করছেন। গ্রামের সুনিল কুমার প্রামানিকের পুত্র স্কুল শিক্ষক নিখিল রঞ্জন প্রামানিক ও নিহার রঞ্জন প্রামানিক।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নিখিল রঞ্জন প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ছোট দুটি গাছ কাটা হয়েছে এবং সেখানে অল্প কিছু জমি খাস রয়েছে। এব্যাপারে কামারগাঁ ইউপি ভুমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) আব্দুস সাত্তার বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং বিষয়টি ইউএনও স্যারকে অবগত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বকুল হোসেন বলেন, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও জনস্বার্থে সরকারি সম্পদ যদি রক্ষা করতে না পারি তাহলে আমরা জনগণের কাছে কি জবাব দিবো। তিনি আরও বলেন, দেশে কি সরকারি সম্পদ রক্ষার কোনো কর্তৃপক্ষ নেই। তাহলে তারা নিরব আছে কেন?

একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও যদি বিচার না পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের কি অবস্থা সেটা সহজেই অনুমান করা যায়। তিনি এবিষয়ে সরাসরি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আজকের তানোর