সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৭ am
ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : এগ্রিকনসার্ন ঢাকা বাংলাদেশ নামের প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর তানোরে রপ্তানীমূখী ২০ জাতের আলু উৎপাদন ও পরিদর্শন করেন কৃষিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক। উপজেলার কামারগাঁ ইউপির ছাঔড় মাঠে সম্প্রতি শনিবার বিকেলের দিকে মাননীয় মন্ত্রী পরিদর্শনে এসে স্হানীয় কৃষক ও কৃষি দপ্তরসহ বরেন্দ্র দপ্তরের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় মাননীয় মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে কিভাবে আলু রপ্তানি করা যায় এবং আলু থেকে মান সম্পন্ন চিপস বা বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা যায় এমন চিন্তা করেই ২০ জাতের আলু উৎপাদন করে রপ্তানি করা হবে। এসব আলু ছাড়া বিশ্ব বাজারে অন্য আলু নিতে চায় না। কারণ অন্য আলু কোনভাবেই রপ্তানি করা যায় না। এতে ব্যাপক হারে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এজন্য আমরা আগামীতে যেন চাষিরা এসমস্ত জাতের আলু চাষ করতে পারেন। এমন চেষ্টা জোরালো ভাবে করা হচ্ছে। এই ২০ জাতের আলু আন্তর্জাতিক বাজারের সকল নিয়ম মেনেই উৎপাদন করা হচ্ছে।
কৃষিবিদ মন্ত্রী আরো বলেন, এসব এলাকা বরেন্দ্র ভুমি হিসেবে পরিচিত। অতীতে শুধু একটি মাত্র ফসল উৎপাদন হত। বর্তমানে বোরো, আমন ও আলু চাষ হয় প্রচুর পরিমানে। আমাদের একান্ত চেষ্টা চলছে কম খরচ ও অল্পমাত্রার কীটনাশক ব্যবহার করে এবং কম সময়ের মধ্যে ফসল উৎপাদন করা যায় এসব বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা করা হয়েছে। আজ প্রান্তিক চাষিরাও সরকারি ভাবে নানান প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করছেন।
আমাদের সরকার কৃষিকে প্রাধান্য দিয়ে যুগোপযোগী নানা ধরনের কল্যানমূখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যাতে করে কৃষকরা কম খরচে ফসল উৎপাদন করতে পারেন। এজন্য বে-সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
যেমন এই মাঠেই ২০ জাতের আলু উৎপাদন করছেন এগ্রিকনসার্ন নামের প্রতিষ্ঠান। তারা ৩০০ একর বা ৯০০ বিঘা জমিতে এসব জাতের আলু উৎপাদন করছেন। তারা অনেক কম খরচে মান সম্পন্ন আলু উৎপাদন করছেন। দেশে অতিরিক্ত আলু উৎপাদন হলে রপ্তানি করা যায় না। আর এসব জাতের আলু আন্তর্জাতিক বাজারে সহজে রপ্তানি করা যাবে। মুলত আমি এসব জাতের আলু কেমন হয়েছে এবং এর ব্যাপক প্রচারণার জন্যই এখানে এসেছি। যে ২০ জাতের আলুর বীজ চাষ হচ্ছে সেটা নেদারল্যান্ডস ও জার্মানি থেকে আমদানি করেছে এগ্রিকনসার্ন প্রতিষ্ঠান। আমার বিশ্বাস আগামীতে এসব জাতের আলু চাষ হবে প্রচুর এবং কৃষকরা লাভবান হবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, দিগন্ত মাঠ ভরা আলু। আবার বোরো চাষ চমৎকার লাগছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে বেশির ভাগ আমাদের প্রধান খাদ্য ধান উৎপাদন হয়। ধান উৎপাদনে সময় লাগে প্রায় ১২০/১২৫ দিনের মত। এজন্য পানি সেচ লাগে অনেক। এতে করে খরচও বেশি হয়। আর এসব আলু ৮০/৮২ দিনের মধ্যে উত্তোলন করা যায়। আমাদের একান্ত চেষ্টা বরেন্দ্র অঞ্চলে কম সেচে কিভাবে অল্পদিনের মধ্যে কোন জাতের ফসল উৎপাদন করতে সক্ষম। সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রতিনিয়তই দেওয়া হচ্ছে এবং এর সুফল অবশ্যই পাওয়া যাবে।
মাননীয় কৃষি মন্ত্রী সরকারি আলুর মাঠে গিয়ে ২০ জাতের আলু দেখেন। তিনি আলুর গাছ তুলে এবং প্রতিষ্ঠানটি ২০ জাতের আলু উত্তোলন করে সামিয়ানার নিচে রেখেছিল। সে সমস্ত আলুও দেখেন মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রী আসার আগেই আলুর প্রজেক্টের স্হানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনসহ পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ছাড়াও কৃষি অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ, সাংসদ প্রতিনিধি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, তানোর আ’লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুন নবী বাবু চৌধুরী ও তানোর আ’লীগের সভাপতি পৌরমেয়র ইমরুল হক।
এছাড়াও বিএমডিএ সহ এগ্রিকনসার্ন এর কর্মকর্তারা ফুললে শুভেচ্ছা জানান মাননীয় মন্ত্রীকে। এসময় কৃষি মন্ত্রী আসার খবরে কামারগাঁ ইউপিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রীকে দেখার জন্য ওই এলাকার মহিলারা এলে মন্ত্রী তাদের কাছে গিয়েও কথা বলেন। আজকের তানোর