সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৪৪ am
আশরাফুল ইসলাম রনজু, নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে সরকারিভাবে সারাদেশে অফিস আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংগঠন সহ সব পেশার মানুষ যখন পালন করলেন দিবসটি।
কিন্তু রাজশাহীর মুন্ডুমালা ফজর আলী মোল্লা ডিগ্রি কলেজে দেখা গেল উল্টো চিত্র। অধ্যক্ষসহ কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের প্রতিষ্ঠানের বড় শহীদ মিনারটি পরিস্কার-পরিচ্ছনতা করেনি। এবং রাতে কোন লাইটের ব্যবস্থাও রাখেনি। যার ফলে রবিবার রাতে পুরো শহীদ মিনার চত্বর ছিল ভূতুরে অন্ধকার।
শহীদ মিনারের এমন ভূতুরে অন্ধকার দেখে রবিবার রাত্রে পুস্পস্তবক করতে আসা ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাক্তিরা অধ্যক্ষ উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সরকারী ভাবে রাত ১২.১মিনিট শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক করার নির্দেশনা ছিল।
সরকারী নির্দেশ মত রবিবার রাতে মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ,পৌর মেয়র,কাউন্সিলর,কর্মকর্তা কর্মচারী ও দলীয় নেতাকর্মীরা রবিবার রাত সাড়ে ১১টার সময় শহীদ মিনার চত্বরে শ্রদ্ধাঞ্জজি জানাতে উপস্থিত হন। সেখানে ভূতুরে অন্ধকার পরিবেশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
মুন্ডুমালা পৌর ছাত্রলীগের নেতা রুবেল ও অপুর্ব হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,অধ্যক্ষ দিবসটি উপলক্ষ্যে রাতে সেখানে উপস্থিত না থেকে বাড়ি ঘুমাচ্ছেন। অথচ এলাকার প্রায় তিন থেকে চারশ জন মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে রাতের অন্ধকারে সেখানে গিয়েছেন। অধ্যক্ষ বিচার হওয়া উচিত। নইতো আন্দলন গড়ে তোলা হবে।
মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন,কলেজ অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন বড় একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। অথচ তিনি কোন জাতীয় দিবসগুলোতেই রাতে পুস্পস্তবক করেননা। সেসাথে শহীদ মিনার রাতে আলোর ব্যবস্থা করেনা। অবহেলার চোখে দেখেন। এটা সরকারের দেখা উচিত।
মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মাসুদ রানা বলেন, মুন্ডুমালা পৌর এলাকার সবচেয়ে বড় শহীদ মিনার অথচ অধ্যক্ষর অবহেলা ধরা পড়েছে। রবিবার রাতে সেখানে পুস্পস্তবক করতে গিয়ে তাকে পাওয়া যাইনি তিনি বাড়ি ঘুমািেচ্ছলেন। সেখানে ভুতুরে অন্ধাকার বিরাজ করছিল। তার কাছে কৈয়ফত চাওয়া উচিত।
কলেজ অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদিন বলেন, কলেজের পাশেই শহীদ মিনার। রাতে কলেজে লাইট জলে থাকে এতেই দেখা যাই। আর আমরা দিনে পুস্পস্তবক করে থাকি। আজকের তানোর