সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৩২ am
কেএম রেজা, (নিজস্ব প্রতিবেদক) পুঠিয়া : রাজশাহীর পুঠিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিয়ম গাফিলতির কারণে ভেজাল সার বালাইনাশক ডিলাররা বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, বেশিরভাগ ডিলাররা ভেজাল সার বালাইনাশক বিক্রি করছে।
কিন্তু কর্মকর্তারা সবকিছু জানার পরও ডিলারদের বিরুদ্ধে কঠোর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এতে করে ডিলারদের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত কৃষকরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিসিআইসি সার ডিলার রয়েছে আটটি। আর বিএডিসি সার ডিলার রয়েছে ১৩ জন। ছয়টি ইউপি এলাকায় সাব-সার ডিলার খুচরা বিক্রেতা রয়েছে ৬৩ জন।
এছাড়া বালাইনাশক ডিলার আছে প্রায় সাড়ে তিনশ মতো। উপজেলার পৌরসভাসহ ছয় ইউনিয়ন এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টাকা দিয়ে যেখানে-সেখানে খুচরা রাসায়নিক সার ও বালাইনাশক বিক্রির দোকান হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে ডিলারদের মাসিকচুক্তি থাকার ফলে ভেজাল সার বালাইনাশক বিক্রি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
তাদের নিকট থেকে চাষিরা সার বালাইনাশক ক্রয় করে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। দেখা গেছে, উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়ন এলাকায় কৃষি অফিসের যোগসাজশে নিয়মবর্হিভূতভাবে বানেশ্বর বাজারে অবৈধভাবে এক ডজনের মতো সার কেনাবেচার দোকান গড়ে উঠেছে। এছাড়া ভালুকগাছি, শিলমাড়িয়া, বেলপুকুর, জিউপাড়াসহ পুঠিয়া সদরে গড়ে উঠেছে আরও অর্ধশতাধিক সার কেনাবেচার দোকান। বানেশ্বর এলাকার এক সাব-সার ডিলার অভিযোগ করে বলেন, বানেশ্বর এলাকায় আমরা মাত্র তিনজন সাব-সার ডিলার আছি। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ সার কেনাবেচার দোকান।
এ বিষয়ে আমরা প্রতিবাদ জানালে তারা মারধরের হুমকি দেয়। এ বিষয়ে বারবার কৃষি কর্মকর্তাকে অভিযোগ দেয়া পরও তিনি অদ্যাবধি কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বর্তমানের বালাইনাশক ভেজালের জটিলতা বেশি দেখা দিয়েছে। বানেশ্বর বাজারের একাধিক স্থানে কৃষি অফিসের সঙ্গে বিশেষ সমঝোতা করে বিভিন্ন মোড়ক ব্যবহার করে ভেজাল জৈব দস্তা জিংক কারখানায় তৈরি করে বাজারজাত করছে।
বালাইনাশক ব্যবহার করে রোগ-বালাই যাচ্ছে না। ফসল ও জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে কৃষকদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি মালটি ন্যাশনাল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ৬০ ভাগ বালাইনাশক আমরা কৃষকদের মাঝে বিক্রি করে থাকি। আমাদের কোম্পানি সরকারকে মোটা অংকের কর দিয়ে থাকেন। যে কোম্পানির মালিকরা সরকারকে কর দেয় না, ভূঁইফোর তাদের কথা কৃষি কর্মকর্তা শুনে। কারণ, কোম্পানির পক্ষ থেকে তাদের উপঢৌকন দেয়া হয়।
এজন্য উপজেলায় ভেজাল অবৈধ বালাইনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। আমরা মাঝে মধ্যে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়ে থাকি। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। পুঠিয়া উপজেলায় সার, বালাইনাশক তৈরি করার দুই একটি পণ্যের কয়েকটি কারখানার সরকারি অনুমোদন আছে। কিন্তু দুই-একটি পণ্যের অনুমোদন নিয়ে প্রতিদিন শত শত টন ভেজাল অবৈধ সার, বালাইনাশক কারখানাগুলোতে তৈরি করে তারা বিক্রি করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামসুন নাহার ভূঁইয়া বলেন, এই উপজেলায় যে কয়জন বিভিন্ন সার বালাইনাশক বাজারজাত করে থাকেন। তারা আমাকে বলেছেন, করোনার জন্য তারা কোনো পণ্য উৎপাদন করেননি। বানেশ্বর বাজারে ভেজাল সার ও বালাইনাশকের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার নিকট ভেজাল সার বালাইনাশক বিক্রির ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই। আজকের তানোর