সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:৪৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : এইচএসসির ফল প্রস্তুত করে দেওয়ার জন্য দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কাছ থেকে আপ্যায়ন বাবদ পৌনে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজাহার আলীর ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে সম্প্রতি এই টাকা জমা হয়েছে।
দিনাজপুরের কর্মকর্তারা বলছেন, এভাবে টাকা নেওয়া অযৌক্তিক। অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ূন কবীর, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট (চলতি দায়িত্ব) শফিকুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজাহার আলী এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০৭ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে আলাদা করে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টার নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ২০১০ সাল থেকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টার থেকেই ফলাফল প্রস্তুত করে নেয়।
এ জন্য রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে দিনাজপুরের সাতজন কর্মকর্তা আছেন। তাঁদের রাজশাহী বোর্ডের কর্মকর্তারা সহায়তা করে থাকেন। আর এ জন্যই আপ্যায়ন বাবদ টাকা নিয়েছেন রাজশাহীর কর্মকর্তারা।
গত ২৪ জানুয়ারি টাকা চেয়ে দিনাজপুরের শিক্ষা বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের প্যাডেই লেখা হয় চিঠি। চিঠিতে সই করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ূন কবীর, সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট (চলতি দায়িত্ব) শফিকুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজাহার আলী।
চিঠিতে আপ্যায়ন বাবদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা আজাহার আলীর নামে অগ্রিম পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। ফল প্রকাশের সপ্তাহখানেক আগে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড এই টাকা পরিশোধ করে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সচিব জহির উদ্দিন বলেন, ‘চা-নাশতা খাওয়ার জন্য এক বোর্ড আরেক বোর্ডের কাছে টাকা নেবে, এটা আমার কাছে অযৌক্তিক মনে হয়। এখন টাকা না দিলে তো রাজশাহী বোর্ডের কম্পিউটার সেন্টারের কর্মকর্তারা আমাদের কর্মকর্তাদের সহায়তা করবেন না। সে কারণেই টাকা দিতে হয়।’
তবে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, ‘এইচএসসির ফল প্রকাশের সপ্তাহখানেক আগে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকে আমার ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা এসেছে। দিনাজপুরের ফল প্রস্তুত করে দিতে রাত জেগে আমাদের কাজ করতে হয়। সে কারণেই আপ্যায়ন বাবদ টাকা নেওয়া হয়।’
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘একেক পরীক্ষার ফল প্রস্তুত করে দিতে প্রায় এক মাস সময় লাগে। দিনাজপুরের সাতজন কর্মকর্তা রাজশাহী বোর্ডে থাকলেও তাঁরা একাই ফল প্রস্তুত করতে পারেন না। আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাত জেগে বাড়তি কাজ করতে হয়। সে জন্যই তাঁদের আপ্যায়নের জন্য কিছু টাকা নেওয়া হয়।’ সূত্র- আজকের কাগজ