রবিবর, ১০ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:২৩ am
ডেস্ক রির্পোট : শীতের ঘণকুয়াশায় চাদরমোড়া হিম বুড়িকে বিদায় জানিয়ে আজ ঋতুরাজ বসন্তের আগমন। আজ পহেলা ফাল্গুন। ফাগুনের আগুন ঝরানো দিনের শুরুতেই বসন্তের বাসন্তী রঙে রাঙ্গিয়ে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বসন্তের আগমনের সাথে ভালোবাসা দিবসে বাড়তি উৎসবের আমেজ চলছে সর্বত্র।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত প্রত্নস্থলগুলোর মধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। আর এই বৌদ্ধ বিহারে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ঐতিহাসিক এ নিদর্শন দেখতে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা এসেছে।আর ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ইতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আর এই বৌদ্ধ বিহারে বিশেষ করে বিভিন্ন দিবসের দিন এখানে দেশী বিদেশি নানা বয়সের দর্শনার্থীদের আগমনে ঘটে। দিবস গুলোতে এখানে পর্যটকের ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠে বিহারের চতুরদিক।
রাজশাহী বিভাগীয় শহর থেকে বেড়াতে আসা দর্শনার্থী মিম ও লাবনী জানান, এবারই প্রথম এই জায়গা দেখতে এসেছে। এই বৌদ্ধ বিহার যে এতো সুন্দর তা কখনো ভাবতে পারেনি। শুধু বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাহাড়পুরের কথা শুনেছি। এ বছর দেখার ভাগ্য হয়েছে আমাদের। ভালোবাসা দিবসে তারা তাদের বাবা-মার সাথে বেড়াতে এসেছে এই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে।
জয়পুরহাট থেকে আসা মেঘা রানী বলেন, ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার দেখে আমরা মুগ্ধ হয়েগেছি। এতো অপূর্ব দৃশ্য নওগাঁয় আছে তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই তারা সকলকে পাহাড়পুর দেখার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে ঐতিহাসিক পাহাড়পুর (সোমপুর বিহার) এর কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, এবার বৌদ্ধ বিহারে দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে ব্যাপক নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সংস্কারের পর বৌদ্ধ বিহারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৪ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস থেকে ২১ শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এখানে এরকমই দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটবে।কালের সাক্ষী প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমনপ্রিয় ব্যক্তিদের মন আকৃষ্ট করে।