শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৪৫ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট : রাজশাহীর চারঘাটে আখ ও খেজুর গুড়ের চিটা, আটা ও কাপড়ে ব্যবহার করা রংসহ এক ধরনের কেমিক্যালের মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে গুড়।
এসব ভেজাল গুড় বিক্রি করা হচ্ছে স্থানীয় বাজারসহ ও দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে। দীর্ঘদিন ধরে চারঘাটের বিভিন্ন এলাকায় এমন অবৈধ কর্মযজ্ঞ চললেও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে উদাসীন।
সরেজমিনে দেখা যায়, আখের গুড় তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে সুগারমিলের পরিত্যক্ত গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত চিটাগুড়, চিনি, হাজার পাওয়ারের রং ও আটা।
খেজুর গুড় তৈরিতে গাছিরা ব্যবহার করছেন রসের পাশাপাশি চিনি, রং ও আটা। সাধারণত অধিক লাভ এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য গুড় উৎপাদনকারীরা এ সব ক্ষতিকর গো-খাদ্যসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন।
ভায়ালক্ষীপুরের ইউনিয়নের বুদিরহাট গ্রাম, ডাকরা ও বাকরা, চারঘাট ইউনিয়নের পরানপুর, গওরা, কাকঁড়ামারী, মেরামতপুর দিড়িপাড়া, নিমপাড়া ইউনিয়নের নন্দনগাছি, কালুহাটি, শলুয়ার জাগিরপাড়া, হলিদাগাছি, মাড়িয়া, বামদিঘী, ইউসুফপুরের বাদুড়িয়া, টাঙ্গন, সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা, খোর্দ্দগবিন্দপুর, চারঘাট পৌরসভার মোক্তারপুর, মিয়াপুরে আখ ও খেজুরের গুড় তৈরি হয়।
এ সব এলাকায় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ আখ মাড়াই কল দিয়ে আখের রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করা হচ্ছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের জন্য সামান্য পরিমাণ আখের রসের মধ্যে চিটাগুড়, হাইড্রোজ, রং ও চিনি ব্যবহার করে তৈরি করছেন ভেজাল আখের গুড়। এছাড়া খেজুর গুড় তৈরিতে ব্যবহার করছেন চিনি, আটা, হাইড্রোজ ও কেমিক্যাল রং।
এলাকাবাসী জানান, এ সব ভেজাল আখ ও খেজুর গুড় স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে বাজারজাত করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য স্যানিটারি পরিদর্শক আফজাল হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা লোকমান হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মেরামতপুর ও মিয়াপুরের কয়েকটি গুড়ের কারখানা পরিদর্শন করে নমুনা পরীক্ষায় মাত্রাতিরিক্ত কেমিক্যাল পাওয়া গেছে। তবে খুব দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরার বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে দ্রুত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের তানোর