সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থ আত্মসাত করে কারাগারে গিয়ে ২৫ মাস ধরে ইমামতি করছেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখা ক্যাশ ইনচাজ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল। কারাকতৃপক্ষ তাকে যখন যে ওয়ার্ডে রেখেছেন তখন সে ওয়ার্ডে তিনিই ইমামতি করেছেন বলে জানা গেছে।
কারাগার ও মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০০ সালের ২৩জানুয়ারী রাজশাহীতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখার তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় টাকা আত্নসাতের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের রাজশাহী শাখায় ক্যাশ ইনচাজ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল এর বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার সেলিম রেজা খান।
কারাগারে ইমামতি করা বিষয়ে কারাগারে আটক প্রিমিয়ার ব্যাংকের ক্যাশ ইনচাজ শামসুল ইসলাম ওরফে ফয়সাল বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ভল্ট থেকে তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় গত ২০০০সালের ২৮জানুয়ারী থেকে আমি কারাগারে ৫ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সময় কাটাচ্ছি। জানিনা আর কতোদিন এ অন্ধকার কারাগারে থাকা লাগবে।
আমাকে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বলেছিলেন তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা সরিয়ে নেয়ার সবদায় আমাকে স্বীকার করে নিতে। তাহলে তারা আমার পরিবারসহ আমার খোঁজ খবর নিবে। এমনকি তারা আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করবে। কিন্তু তারা আমার বা আমার পরিবারের কোন খোঁজ কবরই রাখেননি। আমি আমার পরিবারের কাছ থেকে জানতে পারি বরং তারা এখন আমাকে একা এই মামলায় ফাঁসাতে মরিয়া হয়ে উঠে উর্চ্চ আদালতে আমার মামলার জামিনে তাদের ব্যারিস্টার দাঁড় করিয়ে বাধা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে গত দুই বছর ধরে আমি টাকা গুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকি। তাহলে গত দুবছরে কয়েকটি আডিট হয়েছে ব্যাংকে সেখানে কোথাও টাকা কম আছে বা গড়মিলের কোন তথ্য নেই। আমি যদি গত দুই বছর ধরে টাকা গুলো ব্যাংক থেকে সরাতে থাকি তাহলে অডিটে কি করে সব ঠিক থাকে এই প্রশ্ন দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাজশাহী সকল জনগনের কাছে।
সর্ব শেষে তিনি বলেন আমি একা এই ঘটনায় জড়িত না। সুষ্ঠ তদন্ত করে তাদেরও এই মামলাতে সংযুক্ত করতে দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যদের নিকট অকুল আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আজকের তানোর