শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪৭ pm

সংবাদ শিরোনাম ::
দুদকের তালিকায় ১০০ ব্যক্তির সম্পদের পাহাড় গড়েছেন যারা আ.লীগ ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে ৭৫০ মামলা ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিখোঁজের সাতবছর পর ছেলেকে ফিরে পেলেন উচ্ছ্বসিত মা তানোরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত রাসিকের সাবেক কাউন্সিলর মনসুরের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন সেই রুবেল আরও ৭ দিনের রিমান্ডে সিলেবাস সংক্ষিতের দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শেষে সমাবেশ পবায় উপজেলা প্রশাসনে ও কাটাখালি পৌরসভায় ভোগান্তি চিত্র নায়িকা পরীমণি পালন করলেন ‘বিবাহ বিচ্ছেদ’ দিন এক দফা দাবিতে রাজশাহীতে নার্সদের মিছিল শেষে মানববন্ধন প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য রহমত : দুধরচকী রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ডলার সংকটে বাংলাদেশকে সার দিচ্ছে না সরবরাহকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ড. ইউনূসের নাগরিক সংবর্ধনা বাতিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে বিচারিক ক্ষমতা পেলো সেনাবাহিনী আন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ বাগমারায় অধ্যক্ষ ও সভাপতির অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়টি গুজব : আসিফ মাহমুদ একদিনের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা রাজশাহী আসছেন আজ
মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে বাড়ছে জনপ্রিয়তা

মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষে বাড়ছে জনপ্রিয়তা

 আর কে রতন, বিশেষ প্রতিবেদক : মালচিং মূলত চীন ও জাপানের বিষমুক্ত সবজি চাষের একটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বর্তমানে বাংলাদেশেও পাইলট প্রোগ্রাম হিসেবে বিভিন্ন স্থানে এই পদ্ধতিতে বিষমুক্ত সবজি চাষ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে রাজশাহীর প্রধান সবজি উৎপাদিত পবা, মোহনপুর, বাগমারাসহ বিভিন্ন উপজেলা মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে মরিজ, টমেটো, ফুলকপি, পাতা কপি চাষ করে সাফল্যের চোখে দেখছেন এ এলাকার সবজী চাষিগণ।

এই পদ্ধতিতে উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজির বাজারে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদা বেশি হওয়ায় ও ফলন দাম ভালো পাওয়ায় উৎসাহিত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উৎপাদিত সকল সবজিতেই ব্যবহার করা হচ্ছে মাত্রারিক্ত কীটনাশক। যা মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের জন্য কৃষি বিভাগ প্রতিনিয়তই উদ্ভাবন করছে পরিবেশবান্ধব নানা প্রযুক্তি ও পদ্ধতি।

সেই পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তির মধ্যে একটি মালচিং পদ্ধতি। অন্যদিকে বর্তমান সময়ের অধিক পরিমাণে শেলো মিশিন ব্যবহারের কারণে পানির স্তর নিচে চলে যাচ্ছে যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। তাই প্লাস্টিক মালচিং পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করে বাঁচানো যায় পানির অপচয়। এছাড়া উৎপাদন খরচ কমিয়ে দ্বিগুণ লাভবান হওয়া যায়। ফলে সারা দেশের ন্যায় রাজশাহী অঞ্চলেও দিনে দিনে মালচিং পদ্ধতিতে সবজী চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। মালচিং বা আচ্ছাদন পদ্ধতিতে চাষাবাদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে ।

‘মালচ’ কথার অর্থ মাটি ঢেকে দেওয়া। মূলত পুরানো, শুকনো বা কাঁচা পাতা, বিচালি বা খড়, কচুরিপানা ইত্যাদি দিয়ে মাটি ঢেকে দেওয়ার পদ্ধতিই হলো মালচিং যা আগের থেকেই আমাদের দেশে চালু আছে। কিন্তু কৃষিতে আধুনিকীকরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে প্লাস্টিক মালচিং-এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। এটি আধুনিক চাষাবাদের একটি উন্নত পদ্ধতি। এর ফলে ফসলের দ্রæত বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া, ভালো ফলনের জন্য মাটি ঢেকে দিয়ে আবাদের অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হয়।

পবা উপজেলার বড়গাছি গ্রামের সবজি চাষি ইনছান আলী বলেন, ফসলের ক্ষেতে আর্দ্রতা সংরক্ষণে মালচিং বিশেষভাবে উপকারী। কারণ প্লাস্টিক মালচিং ব্যবহারের ফলে মাটির রসের বাষ্পায়ন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে মাটির উপরিতল থেকে যে পরিমাণ পানি বাষ্পীভূত হয়, তা ওই প্লাস্টিকের আবরণে বাধা পেয়ে ঘনীভূত হয়। যা বিন্দু বিন্দু জলকণায় পরিণত হয়ে আবার মাটিতেই ফিরে আসে। এতে জমিতে দু’টি সেচ পর্বের ব্যবধান বাড়ানো সম্ভব হয়। ফলে সেচ কম লাগে অর্থাৎ সেচের খরচ কম হয়।

সেচ বা বৃষ্টির পানি শুধুমাত্র প্লাস্টিকের ফুটো করার অংশ দিয়ে শিকড়ের কাছের অংশের মাটিতে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে পানির যথাযথ ব্যাবহার ও সংরক্ষণ সম্ভব হয়। মোহনপুর উপজেলার পরিজুনপাড়া গ্রামের মরিজ চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় পূর্বে এ পদ্ধতি না থাকলেও বর্তমানে সবজি ক্ষেতে অনেক কৃষক এ পদ্ধতিতে চাষ করছে। প্লাস্টিক মালচিং এ যেহেতু ফুটো করা অংশ দিয়ে গাছ বেড়িয়ে আসে। মাঝের ঢাকা অংশে থেকে আগাছা বের হতে পারে না। প্লাস্টিক যদি কালো রঙের হয় তবে সূর্যালোক ঢুকতে পারে না। ফলে সালোকসংশ্লেষ করতে না পারায় মাঝের অংশের আগাছা মারা যায়। ফলে আগাছানাশকের জন্য শ্রমিকের খরচ কমে যায়।

কেশরহাট পৌরসভার কৃষিবিদ শফিকুল ইসলাম জানান, মালচিংয়ের ফলে পোকার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিমাটোড বা ফসলে কৃমির আক্রমণ রোধ হয়। পলিথিন জাতীয় এ সীটের উপরের রঙ সিলভার এবং নিচের রঙ কালো। সিলভার রঙ হওয়ায় সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয় ফলে পোকা বসতে পারে না। গাছে পোকা ধরে কম। এই পদ্ধতি ব্যবহারে শিকড়ের কাছের স্থানে সার প্রয়োগ করার জন্য চাষে সার প্রয়োগের পরিমাণ ও সংখ্যাও অনেক কমে যায়। ফলে খরচ কমানো সম্ভব হয়। আজকের তানোর

স্যোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ads




© All rights reserved © 2021 ajkertanore.com
Developed by- .:: SHUMANBD ::.