বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৩০ pm
ইমরান হোসাইন :
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় দুটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে একটি দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা মুন্ডুমালা। আরেকটি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা তানোর সদরে অবস্থিত। গেলো ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় ধাপে মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচন হয়ে গেছে।
ওই নির্বাচনে মেয়রপদে আ’লীগের বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমানের জগ প্রতীকের জলে মাত্র ৬১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন আ’লীগ মনোনীত নৌকার মেয়রপ্রার্থী আমির হোসেন আমিন। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাড়াও হাতুড়লীগ নেতা রাব্বানীর ভাই শরিফুল ইসলামসহ তাদের কর্মী সমর্থকরা নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।
আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী ৪র্থ ধাপে তানোর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে ওপারে (মুন্ডুমালা) জগের জলে যারা নৌকা ডুবিয়েছেন তারাই দল বেধেঁ এপারে ভাসানোর নাটক করছেন। তানোর আ’লীগের শীর্ষ দুই পদধারী নেতা নৌকা ডুবানো ও ভাসানো নাটকের হেতু কি?
জানা গেছে, বিগত ২০১৯ সালের ১০ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কামারগাঁ ইউপির কচুয়া ভোটকেন্দ্রে দুর্বল হাতুড়ি প্রতীকের কাছে নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়। অথচ ওই কচুয়া কেন্দ্রেই আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভোটার।
স্থানীয়রা বলছেন, যেখানে আওয়ামী লীগের দূর্গ। দেশ স্বাধীনের পর যেকোনো নির্বাচনে ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। কিন্তু আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের ঈশারায়, ইন্ধনে ও খেদমতে তার কেন্দ্রেই নৌকাকে ডুবিয়েছেন মামুন। ফলে ইতিহাসে ওই কেন্দ্রে এটাই প্রথম পরাজয় ঘটেছে আ’লীগের।
অপরদিকে, গেলো ৩০ জানুয়ারী মুন্ডুমালা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চুনিয়াপাড়া কেন্দ্রে ভোট দেন তানোর উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী। ওই কেন্দ্রই বিপুল ভোটে পরাজয় ঘটেছে নৌকার। দেখা গেছে, উপজেলা পরিষদ থেকে মুন্ডুমালা পৌর পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঈশারায়, ইন্ধনে ও খেদমতে কেবল তাদের ভোট কেন্দ্রেই আ’লীগের ভরাডুবি হয়েছে।
সম্প্রতি গত জাতীয় নির্বাচনে এমপি প্রার্থী ঘোষনা দেন রাব্বানী। কিন্তু তিনি জনবিছিন্ন নেতা হবার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বা আ’লীগের মনোনয়ন ও সমর্থন পাননি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার অনুসারী নেতাকর্মীকে উসঁকে দিয়ে কৌশলে দলের ভিতরে ও বাইরে বিভক্তির সৃষ্টি করে চলেছেন। বর্তমানে তানোর পৌর নির্বাচনেও আ’লীগের মেয়র প্রার্থী ইমরুল হকের ভোট প্রার্থনায় তারা উদাসিন। লোক দেখানো প্রচারে নেমে বর্তমান সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা।
এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌরসভার নাগরিক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শরিফ খাঁন বলেন, মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে তানোর আ’লীগ সভাপতির ঈশারায়, ইন্ধনে ও খেদমতে তীরে এসে তার কেন্দ্রেই নৌকাকে ডুবিয়েছেন রাব্বানী। আর এপারে (তানোর) নৌকাকে ভাসাতে রাব্বানী-মামুন নাটকের সৃষ্টি করে চলেছেন। এতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে মিশ্রপ্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দলের ভিতরে আন্ত:দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে আগামীতে সাংসদ ফারুক চৌধুরীর হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
মুন্ডুুমালায় নৌকা ডুবিয়ে তানোরে উদাসিন ব্যাপারে জানতে চাইলে এড়িয়ে গিয়ে উপজেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগামীতে সভাপতি গোলাম রাব্বানীকে এমপি নির্বাচিত করেই আরও একটি চমক দেখাবেন বলে জানান মামুন। আজকের তানোর