শুক্রবার, ২০ েপ্টেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:২৪ pm
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক :
রাজশাহীর তানোরে শিবনদে বা বিলকুমারি বিলে ব্রীজের চারপাশে ব্লক দেবার নামে ফের ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ব্লক দেবার জন্য ব্রীজের নিচ থেকেই মাটি খনন করা হচ্ছে। এতে ব্রীজের পূর্ব দিকের দু’পাশে ধসে পড়েছে। দীর্ঘ এতো বছরেও ব্রীজের রাস্তার এমন বেহাল দশার সৃষ্টি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। সংশ্লিষ্টরা ব্রীজের দু’পাশ সংস্কার বা মেরামতের নামে দফায় দফায় বরাদ্দের নামে সরকারি অর্থ লুটপাট করছেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকার সচেতন মহল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন কতবার ব্লকে মাটি দেয়া হয়েছে, তার কোন হিসেব নেই। এতো লুটপাটের পরও কেন সঠিক হিসেব নেই তা জানতে চেয়েছেন স্থানীয়রা। আর কেন এভাবে একের পর এক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর থেকে অল্প বরাদ্দে দেশের বড়বড় ব্রীজ হয়ে যাচ্ছে। আর এই ব্রীজ কি এক অদৃশ্য যাদুতে চলতেই আছে কাজ। আর কত বছর চলবে বোঝাও যাচ্ছে না কখনো ব্লক, আবার কখনো মাটি কাটা, সেই সঙ্গে প্রটেকশন ওয়াল বারোমাস রাস্তা মেরামত এভাবে কত কোটি গেছে একমাত্র সংশ্লিষ্ট বাবুরাই জানেন। এতো বরাদ্দ হলেও রহস্যজনক কারণে ব্রীজের কোন কিছুই ঠিক হচ্ছে না কেন?
সম্প্রতি ব্রীজে গিয়ে দেখা যায়, ব্লকের কাজ করছেন বেশকিছু মিস্ত্রিসহ ঠিকাদার আব্দুর রশিদের সহকারী। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় কি কাজ চলছে তিনি জানান, ব্রীজের চারপাশে ব্লক দেওয়া হচ্ছে। কাজ করছেন ঠিকাদার আব্দুর রশিদ। কত টাকার কাজ তিনি জানান ৩ কোটি টাকার উপরে।
জানা গেছে, তানোর ও মোহনপুর উপজেলার জনসাধারণের চলাচলের জন্য বিগত ২০০৬ সালে পৌরসদর গোল্লাপাড়া বাজারসহ খাদ্য গুদামের পূর্ব দিকে ব্রীজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর নানা কারণে কাজ বন্ধ থাকে। তবে, ফারুক চৌধুরী অত্র এলাকার এমপি নির্বাচিত হবার পর পুরো দমে শুরু হয় কাজ। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের গড়িমসি নানা অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে এতো বছরেও ব্রীজের চারপাশ ও সংযোগ সড়কের কাজ কোনভাবেই শেষ হচ্ছে না।
বিশেষ করে ব্রীজের পূর্বদিকের রাস্তার চরম বেহাল অবস্থা। প্রতিদিন ঘটে দূর্ঘটনা। সামান্য বাইক নিয়ে চলাও কঠিন। এমনকি ব্রীজের পূর্ব পাশের দু’পাশের মাটি ধসে পড়ে ব্যাপক ঝুকিপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলার দুই উপজেলার জনসাধারণের চলাচল থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতেই নির্মিত হয়েছে ব্রীজটি। এই ব্রীজ ও সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে বিনোদনমূখী স্থান হয়ে পড়েছে ব্রীজটি। কিন্তু জানি না কি কারণে এতো বছর অতিবাহিত হলেও কাজ শেষ হচ্ছে না। মনে হয়, যে টাকা খরচ হয়েছে আরেকটি নতুন ব্রীজ করা যেত।
মাঝে মাঝে মনে হয় ইচ্ছে করেই কাজ শেষ করা হয় না। শেষ হলে বরাদ্দ মিলবে না, এমনটাই মনে হয়। তাছাড়া দেশের বড়বড় সেতু ব্রীজ নির্মাণের কাজ শেষ হলেও, এই ব্রীজ কি এমন যে কাজ শেষই হয় না। কথায় আছে সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল।
এই ব্রীজের অবস্থা ঠিক তাই মনে হচ্ছে। আর কত বরাদ্দ হলে কাজ সম্পন্ন হবে কেউ জানেন না। আবার ব্লকের বরাদ্দ কর্তৃপক্ষ বলছে ৩ কোটি ২১ লাখ। ঠিকাদারের সহকারী জানালেন সাড়ে তিন কোটি। কিছুর বলার নেই। তাও কাজ শেষ হোক এমনটাই আশা দুই উপজেলাবাসীর।
তবে, আশার আলো শুনিয়েছেন সদ্য তানোর উপজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান। তিনি জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই ব্রীজের সকল ধরনের কাজ শেষ করা হবে। আজকের তানোর