মঙ্গবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১২:২২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : ইতিহাস ঐতিহ্যের মহান গৌরবের ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। ১৯৫২ সালের এই মাসে প্রিয় মায়ের ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে দিতে হয়েছে প্রাণ। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি বাংলা ভাষা। বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি হিসেবে ঘোষনা করে। সেই থেকে আজও ১৯৮ টিরও বেশী দিশে বাংলাভাষার ব্যবহার ও ২১ ফেব্রুয়ারী অত্যন্ত সম্মানের সাথে পালন করে আসছে।
বাংলা ভাষার যখন এমন সম্মান তখন রাজশাহী নগরীজুড়ে দেখা মিলছে ইংরেজী অক্ষরে লেখা ছোট বড় সাইন বোর্ড।
নগরীর বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে দেখা গেছে, বেসরকারি ব্যাংক, বাংকের এটিএম বুথ, ইলোকট্রনিক্স কোম্পানী, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, সেলুন ও স্পা সেন্টার, কুরিয়ার ও পরিবহন গাড়ী, বিভিন্ন শো রুম দোকান ও শপিং মলে ইংরেজীতে লেখা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের নাম।
সোমবার নগরীর নিউ মার্কেট হতে শুরু করে অলকার মোড়, সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, আলুপট্টি, সগরপাড়া কল্পনা হল মোড়সহ বিভিন্ন মোড় ও অভিজাত শপিং মলের সামনে দেখা গেছে ইংরেজীতে লেখা প্রতিষ্ঠানের নাম।
সাত বছর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলায় সাইন বোর্ড লিখতে। আর বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠান হলে ইংরেজী পাশাপাশির বাংলায় লিখতে। অথচ সেই সব নির্দেশনা অমান্য করে হরহামেশাই ইংরেজীতে সাইন বোর্ড লিখছে ব্যবসায়ীরা। তাতে বাংলা লেখার ছোঁয়া মেলেনি।
আবার কোন কোন ব্যাংক, বীমা বা শপিং মলে ইংরেজীর পাশাপাশির বাংলা লেখা রেখেছে তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম। বেশ কিছু ইংরেজী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুধু ইংরেজীতেই নাম লিখে রেখেছে। কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিষ্ঠান এসএ পরিবহনের গাড়ীতে ইংরেজীতে বড় অক্ষরে দেখা গেছে তাদের নাম লেখা।
নগরীর আলুপট্টির বাটার শো রুম, প্রাণ আরএফএলের ভিশন ইলেকট্রনিক্সে বড় করে ইংরেজী অক্ষরে লেখা আছে তাদের নাম। এছাড়াও নগরীর ভিন্ন জায়গায় অপো, ভিভো, টেকনোসহ বেশ কিছু মোবাইল কোম্পানী তাদের নাম লিখে রেখেছে ইংরেজীতে। আবার কম্পিউটার বিক্রিয়ের অধিকাংশ শো রুমে ইংরেজীতেই লেখা রয়েছে প্রতিষ্ঠানের নাম।
এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিদেশী কোম্পানী গুলোর ব্যান্ড নাম ও নির্দেশনা থাকায় এভাবে লেখা রয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন বর্তমান ডিজিটাল যুগে কিছু নাম আছে যে গুলো ইংরেজীতে লেখা বলতে বেশী পরিচিত ও স্বাচ্ছন্দ বোধ মনে হয়।
তবে এসবের বিরুদ্ধে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে পদক্ষেপ নিয়েছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাইদ সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে দোকানে দোকানে চিঠি পৌঁছে দেওয়া শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সাইনবোর্ডে বাংলা লেখার জন্য উচ্চ আদালতের একটা নির্দেশনা আছে। নানা কারণে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। তবে এবার আমরা রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে এই কাজে হাত দিয়েছি। ব্যবসায়ীদের সাত দিন সময় দেওয়া হবে সাইনবোর্ডে বাংলা লেখার জন্য। সাত দিন পর এ বিষয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
রাস্তার পাশে ইংরেজিতে লেখা যেসব সাইনবোর্ড চোখে পড়বে, সে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হবে। চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি এ ব্যাপারে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও তিনি জানান। আজকের তানোর