সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৩৮ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাঘের শীতে দিনব্যাপী বৃষ্টির কারণে বোঝার উপায় নেই শীতকাল, না বর্ষাকাল! মাঘের শীতে আষাঢ়ের মতো এমন টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আলু ক্ষেত।
ক্ষেতে পানি জমে থাকার কারণে আলুর ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আর কিছু দিন পরই আলু তোলার সময়। তবে দুই একদিন আগে আলুক্ষেতে যে সমস্ত আলুচাষিরা পানি দিয়েছিলেন, তারা পড়ছেন চরম বিপাকে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্র থেকে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ১৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যা গতবারের চেয়ে বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ১০ ভাগও আগাম আলু ওঠেনি। ফলে এই বৃষ্টির কারণে আলুর ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
নারায়ণপুর গ্রামের আলু চাষি মুকুল কবির বলেন, ‘এবার তের বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে আলু জমি পানিতে ডুবে গেছে। জমিয়ে থাকা পানিগুলো কিভাবে বের করবো সেই দুশ্চিন্তায় আছি। পানিতে এইভাবে আলুক্ষেত ২ থেকে ৩ দিন থাকলে আলু পচে যাবে।’
আলুচাষি ইসাহাক আলী ও মতিউর রহমান বলেন, ‘টানাবৃষ্টির পানিতে আলু ক্ষেত ডুবে গেছে। খুব চিন্তায় আছি। গতবার আলুর দাম কম থাকায় লোকসান গুনেছি। এবার অনেকটা আশা নিয়ে আলু চাষ করেছি। কিন্তু বিধিবাম। এবারও আগাম আলু পাইকারি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকা দরে। আমরা আলুচাষিরা মহাবিপদেই আছি।’
তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘এ উপজেলায় ১৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। যারা দুই একদিনের মধ্যে জমিতে পানির সেচ দিয়েছেন তাদের এই বৃষ্টির পানিতে আলুক্ষেতের ক্ষতি হবে। তবে যারা সেচ দেননি, তারা পানি বের করে দিলে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।’ চাষিদের কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আজকের তানোর