সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৮ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে শিক্ষকসহ তার পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ৩ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা ধীন রয়েছেন।গুরুতর আহতরা হল উপজেলার চাঁদপুর দ্বিতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামিম শাহ তার ভাই শাহিন শাহ মা সাজেদা বেগম ও জিনারা বেগম। এঘটনায় শিক্ষক শামিমের পিতা মুন্তাজ আলী শাহ বাদি হয়ে শনিবার দুপুরের দিকে চুনিয়াপাড়া গ্রামের গোলাম রাব্বানী ওরফে বিশু কে প্রধান করে ৫ জন আসামীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে শনিবার সকাল প্রায় ৯ টার দিকে ঘটে মারপিটের এই ঘটনাটি। মারপিটের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেই সাথে অভিযোগ দেওয়ার খবর জানতে পেরে আসামি বিশু বাহিনী প্রান নাশের হুমকি প্রদান করেছেন বলেও ভুক্তভোগীদের দাবি।
জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার চুনিয়াপাড়া গ্রামে বৃষ্টির পানি বের করা নিয়ে ওই গ্রামের মুন্তাজ আলীর পুত্র শিক্ষক শামিম শাহার সাথে কথাকাটি হয় প্রতিবেশী গোলাম রাব্বানী ওরফে বিশু বাহিনীর সাথে। এরই এক পর্যায়ে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই বিশু বাহিনী শিক্ষক শামিম কে মাটিতে পেলে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে নুয়ে পড়েন।তাকে উদ্ধার করতে আসেন ভাই শাহিন ও মা সাজেদা বেগম এবং ভাই মামুনের স্ত্রী জিনারা বেগম । কিন্তু বিশু বাহিনী শাহিনের মাথায়ও হাসুয়া দিয়ে কোপ দিয়ে তাদের মা ও মামুনের স্ত্রী জিনারা বেগম কে বেধড়ক মারপিট করেন।এঅবস্হায় গ্রামের লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়ে দেন। শিক্ষক শামিম শাহ ও শাহিন শাহার মাথায় সাতটি করে সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাও ভর্তি রয়েছে ও জিনারাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক শামিমের পিতা মুন্তাজ আলী শাহ জানান, বাড়ির আঙ্গিনার পানি বের করা নিয়ে বিশু ও তার লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করে আমার দুই ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে এবং আমার স্ত্রী ও ছেলে বউকেও বেধড়ক মারপিট করেছে বলে হাওমাও করে কান্না শুরু করেন।
আহত মুন্তাজের স্ত্রী সাজেদা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার মত বয়স্ক মহিলা তাদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি কিল ঘুষি মেরেছে। শরীরের প্রতিটি জায়গায় ব্যাথায় কাতর আমি।
সেলিম শাহ জানান পানি বের করার জন্য আমরা যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু ছেড়েছি।কিন্তু বিশু,জহির, জয়নালসহ কয়েক জন মুন্ডুমালা পৌরসভার কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আতাউর রহমান বাবলুর উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার দুই ভাইকে কুপিয়েছে এবং মা ও ভায়ের বউকে মারপিট করে।তারা আমার ভাই শিক্ষক শামিম শাহ কে হত্যার উদ্দেশ্যেই কুপিয়েছে। আসামি গোলাম রাব্বানী ওরফে বিশু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি মারপিট করিনি।
প্যানেল মেয়র আতাউর রহমান বাবলু জানান শুধু আমি না পাড়ার অনেক লোকজনের সামনে মারপিট হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান দুই জনের মাথায় আঘাত পরিক্ষা নিরিক্ষা করে পরে বলা যাবে।আর সাজেদার শরীরে আঘাত তাকে পরিক্ষা করতে বলা হয়েছে। দু তিন দিন পর রোগীদের অবস্থা বলা যাবে।তবে মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে।
তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, অভিযোগ পেয়েছি, এসআই নজরুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি। আজকের তানোর