শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৯:৪২ am
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকার সব দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান করে।
দেশে এখন এমন কোনো ইস্যু নেই বা আন্দোলনের বস্তুগত পরিস্থিতি নেই যা আন্দোলনের ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। এমন স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলেই মনে হয়।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যে কোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানান অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে অপরদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবি করছে।
বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থতার সঙ্গে সঙ্গে তারা জনগণের কাছেও অপাসঙ্গিক হয়ে যাবে।
তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জনকল্যাণের রাজনীতি করুন।
আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার কঠোর অবস্থানে। অনিয়ম ও দুর্নীতি রুখতে শেখ হাসিনার কাছে দলীয় পরিচয় বা নিজস্ব কোনো লোক মুখ্য নয়। নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও তিনি ছাড় দেননি। তা তিনি যত প্রভাবশালীই হোক না কেন কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তার কাছে অপকর্মকারী কারো প্রশ্রয় নেই। কোনো সিন্ডিকেটের কাছে শেখ হাসিনা নিজেকে জিম্মি করেননি। এদেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সততার প্রতীক। তাই শেখ হাসিনার সততা, দেশপ্রেম ও কর্মনিষ্ঠাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা দেশের মানুষ দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখবে।
এ সময় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, ২৬ মার্চ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব শাখাকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিভাগীয় দায়িতপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর