শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৫:৫৬ pm
ডেস্ক রির্পোট : জয়পুরহাটের কালাইয়ে সরাইল গ্রামের মাঠে রাতের আঁধারে এক বর্গাচাষির ৪০ শতাংশ জমিতে বেড়ে ওঠা লাউগাছ কেটে ফেলেছে দুবৃর্ত্তরা। বুধবার রাতের কোনো এক সময় দুবৃর্ত্তরা লাউ গাছগুলো কেটে ফেলে।
জানা যায়, কৃষক আকবর আলী ফকির রাতের বেলায় অন্যের গভীর নলকূপের পাহারাদার হিসেবে কাজ করেন আর দিনের বেলায় জমি বর্গা নিয়ে আতশী আবাদ চাষাবাদ করেন। ওই গ্রামের বিপ্লব হোসেনের কাছ থেকে আমন ধান মাড়াইয়ের পর ৪০ শতক জমি এক বছরের জন্য ২০ হাজার টাকায় বর্গায় নেন। উঁচু জমি বলে তিনি সেই জমিতে পৌষ মাসের প্রথম দিকে লাউগাছের বীজ বপন করেন।
গাছগুলোতে ফুল এসেছে। আর কয়েকদিন পর ফল আসত। বুধবার বিকালে আকবর আলী ফকির তার লাউ ক্ষেতে কীটনাশক স্প্রে করে সন্ধ্যায় বাড়িতে যান। খাওয়া-দাওয়া শেষে তার ক্ষেতের পাশ দিয়ে গভীর নলকূপের পাহারার কাজে চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষেতে গিয়ে দেখতে পান লাউগাছের পাতাগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের মাচার নিচে তাকিয়ে গাছগুলোর গোড়া কাটা অবস্থায় দেখতে পান।
প্রতিবেশী দুলাল মিয়া বলেন, একজনের সঙ্গে আরেকজনের শত্রুতা থাকতেই পারে, তবে ফসলের সঙ্গে কেন? এর একটা সমাধান হওয়া দরকার।
আরেক প্রতিবেশী ফাহিমা আক্তার বলেন, যত বড় অপরাধীই আকবর আলী হোক না কেন, তার ফসল কেটে ফেলা ঠিক হয়নি। যে তার ফসল কেটে ফেলেছে তারা আকবর আলীর পেটে লাথি মেরেছে। ফসল কাটার বিচার হওয়া দরকার।
আকবর আলী ফকির বলেন, ছোটবেলা থেকে দরিদ্রতার মাঝে বড় হয়েছি। কাউকে তুই বলেও গালমন্দ করিনি। মনে করি আমার কোনো শত্রু নেই। কিন্তু আজ সেই ভাবনা আমাকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। সংসারে ছেলে-মেয়েদের মুখে দু’বেলা খাবার জোগাতে রাতের ঘুম হারাম করে অন্যের গভীর নলকূপ পাহারা দেই। দিনের বেলায় অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। আজ সেটিও তাদের সহ্য হলো না। কয়েক দিন পরই লাউ ধরত গাছে। আমার সব আশাই আজ ভেস্তে গেল। ভেবেছিলাম লাউ বিক্রি করে একটি গাভি কিনব। তাও হলো না। থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক বলেন, কৃষক আকবর আলী অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজকের তানোর