নিজস্ব প্রতিবেদক  :
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের (নৌকা) মনোনয়ন প্রত্যাশী উদীয়মান জনবান্ধব নেতা দেলোয়ার হোসেন। এজন্য তিনি আগাম প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেলোয়ার আওয়ামী পরিবারের সন্তান। সেই সুবাদে ৭ বছর ধরে ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বয়স ৪০ উর্ধ্বে।

বাড়ি ইউনিয়ন এলাকার মোহব্বতপুর গ্রামে। তার পিতা নছিমুদ্দিন নছি সম্মানিত ব্যক্তি ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত। তিনি নাটোর কালিয়াপুর বনপাড়া কৃষি ও কারিগরি কলেজ থেকে গ্রাজ্যুয়েশন করেছেন। পেশায় বর্তমানে মৎস্য ব্যবসায়ী ও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

মোহনপুর আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মুরাদুল ইসলাম মুরাদ বলেন, দেলোয়ার ছোট থেকেই নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও ত্যাগী স্বভাবের পরিশ্রমী মানুষ। তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা ও মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ নিজ অর্থায়নে করে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।

সম্প্রতি করোনাকালে মানুষ যখন ঘর থেকে বের হতে পারেন নি। তখন তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি চাল-ডাল ছাড়াও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে সহায়তা করেছেন। এছাড়া তিনি একাধারে একজন সমাজপতি, রাজনীতিবিদ, সালিশ ব্যক্তিত্ব এবং ক্রীড়া সংগঠকও বটে।

ধুরইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজেদ আলী শাহ জানান, দেলোয়ার রাজনীতির পাশাপাশি মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে নিজেকে একজন জনবান্ধব নেতা হিসাবে গড়ে তুলেছেন। তাই ইউনিয়নবাসীর চাওয়া থেকেই তার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রত্যাশা। তার এই প্রত্যাশা পূরণে আগামীতে পরিষদ নির্বাচনে দেলোয়ারকে চেয়ারম্যান দেখতে চাই সবাই।

তিনি আরও জানান, দেলোয়ার ১৯৯৯ সালে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্যপদ লাভ করেন। পরে রাজনীতিতে কর্মী ও জনবান্ধব সমর্থনে ২০১৩ সালে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন এই নেতা।

স্থানীয়রা বলছেন, এই পরিষদে দায়িত্ব ও নেতৃত্বের পরিবর্তন জরুরী। তাই এ চেয়ারে আগামীতে আমরা আ’লীগ নেতার প্রতিনিধিত্ব চাই। সারাদেশ ব্যাপী আওয়ামী লীগ সরকার শাসনামলে রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের ভবন নির্মাণ ও জাতীয়করণ, দেশের টাকায় পদ্মাসেতু নির্মাণসহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি  বর্তমানে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাংসদ মাটি ও মানুষের নেতা আয়েন উদ্দিন মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চিন্তা-চেতনা চোখে পড়ার মতো। তিনি দায়িত্বে আসার পর যত উন্নয়ন হয়েছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সে উন্নয়ন হয়নি। আমরা দায়িত্বশীল নেতা পেয়েছি বলেই আজ পবা-মোহনপুরের উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি।

এব্যাপারে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমি আশাকরি দলের প্রতি আনুগত্য, বিশ্বস্ততা এবং জনসেবার কারণে আমাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। আর মনোনয়ন পেলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের দোয়া আর ভালোবাসায় জনগণের ভোটে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হব।

তখন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাজশাহী-৩ (পবা মোহনপুর) আসনের মাননীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিনের সহায়তায় দীর্ঘদিনের অবহেলিত ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব এবং সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন উপহার দেব ইনশাল্লাহ। আজকের তানোর