সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০১:২৭ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোরে পল্লীবিদ্যুতের একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কথিত ইলেক্ট্রিশিয়ান (লাইনম্যান)এর বিরুদ্ধে অবৈধ সংযোগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এতে করে ভূ-গর্ভস্তরের পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে বিএমডিএর অধিকাংশ গভীর নলকূপ অকেজো ও গভীর নলকুপ সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। জানা গেছে, বিগত ২০১২ সালের দিকে কৃষিমন্ত্রণালয় বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে তানোর উপজেলাটি।এখানকার ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ার কারনে সেচ মটর স্থাপন বন্ধ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ মটরে অবৈধ সংযোগ বানিজ্য কোনো ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। তবে মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযানে দু-একটার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলেও পরক্ষণেই আর্থিক সুবিধা নিয়ে পুনঃরায় সংযোগ একই কায়দার সংযোগ বহাল হয়প যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবইল গ্রামের জানিফ আলী সেচ কমিটির অনুমতি ব্যতিত অবৈধ মটর স্থাপন করে সেচ বাণিজ্য করছে। একই গ্রামের ডামফু ও জালাল সেচ কমিটির অনুমতি ব্যতিত অবৈধ মটর স্থাপন করে সেচ বাণিজ্য করছে। শাহাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও আবু বাক্কার, কলমা ইউপির বনগাঁ গ্রামের মাজহারুল ইসলাম সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত অবৈধভাবে ৫টি এবং পাকুয়াডাঙা হাটের পশ্চিমে মুকবুল হোসেন আবাসিক সংযোগ থেকে সেচ বাণিজ্যে করছে। এভাবেই উপজেলার আনাচে কানাচে পাড়া মহল্লায় শতশত মটর স্হাপন করে দেদারসে সেচ দেওয়া হচ্ছে। এসব একাধিক অভিযোগ পড়লেও রহস্য জনক কারনে নিরব অবস্থায় কর্তৃপক্ষ। গত ডিসেম্বর মাসে বাড়ির মটর থেকে প্রায় ১৫/২০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়ার ঘটনায় বৈধ মটর মালিক সাহাপুর গ্রামের কুদ্দুস লিখিত অভিযোগ দেন।একই গ্রামের সাইফুল কুদ্দুসের স্কীমভুক্ত জমিতে সেচ দিয়েই যাচ্ছেন।
জানা গেছে, উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির দুবইল গ্রামের লুৎফর রহমানের পুত্র গোলাম রাব্বানী লেলিন অবৈধ সেচ বাণিজ্যে করায় তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়, তবে অদৃশ্য কারণে একদিন পরেই ফের সংযোগ দেয়া হয়। অথচ এসব মটরে সংযোগের সময়ে ৩শ’ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকা দেয়া হয় কখানো কোনো অবস্থাতেই সেচ দেয়া হবে না। এসব মটরে এর পরেও সেচ দেয়া হচ্ছে আর পল্লী বিদ্যুৎ জরিমানার নামে ঘুষবাণিজ্য করছে। সম্প্রতি তানোর পৌর এলাকার বেল পুকুরিয়া গ্রামে ৫ হর্স পাওয়ারের অবৈধ সেচ মটর স্থাপন করেন ন্যাশনাল ব্যাংক নওগাঁ শাখায় কর্মরত শফিকুল ইসলাম।তিনিও দাপটের সঙ্গে সেচ বাণিজ্য করছেন। পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী গুবিনপুরের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল হাকিম ৫হর্স পাওয়ারের মটর থেকে অবৈধভাবে গভীর নলকুপ স্কীমের মধ্যে সেচ বাণিজ্য করছে।
বিএমডিএর মেকানিক্স ও গভীর নলকূপের অপারেটরা জানান, পল্লী বিদ্যুৎতের নাম করে এবং একশ্রেণীর কর্মকর্তা ও স্হানীয় ইলেকট্রিশিয়ান রা ভূয়া মুরগির ফার্ম বা গরু মৎস্য চাষের নামে শতশত মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে লাখলাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকেই বের হচ্ছে এসব কথা। কারন স্হানীয় অনেকেই এইসব করে লাখপতি বনে গেছেন।আবার গোলাম রাব্বানী লেলিনতো তার ব্যবহিত বাইকে লিখে রাখেন জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ।আর এতই এর পরিমান, যার কারনে অনেক গভীর নলকূপ থেকে তেমন পানিও উঠেনা।এসব মটরের সেচ বন্ধ না হলে গভীর নলকূপ চরম হুমকির মধ্যে পড়বে।আর যেখানে মন্ত্রণালয় নিষিদ্ধ করেছেন সেখানে পল্লী বিদ্যুৎতের এত আগ্রহ কেন।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তানোর জোনের (ডিজিএম) জহুরুল ইসলাম বলেন, সেচ কমিটির অনুমোদন ব্যতিত সেচ দেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, দ্রুত অবৈধ মটরগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এবিষয়ে বিএমডিএ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান বলেন, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিয়ে অবৈধ মটর থেকে সেচ বাণিজ্যে করায় বিএমডিএর সেচ প্রকল্প হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের গভীর নলকূপ ও সেচ মটর যতগুলো আছে তাতেই উপজেলার আবাদি জমিতে পানি সেচ দেওয়া হয়ে যাবে,তাহলে পল্লী বিদ্যুৎ এভাবে মটর দিচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমরাও জানিনা তারা কেন দিচ্ছে। তবে এসব বিষয়ে অভিযোগ পেলেই আইন গত ব্যবস্হা। আজকের তানোর