সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৪৮ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাস সংক্রমণে রেড জোনে পড়েছে রাজশাহী। প্রতিদিন এ জেলায় আক্রান্তের হার ভয়ানকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে করোনার নতুন ‘সুনামি’ ওমিক্রন মোকাবেলায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি রাজশাহীতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
শনিবার রাজশাহীর দুইটি ল্যাবে ৩০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার ৪৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। এ দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৪ জনের (৪০ শতাংশ) দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে মোট ৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের (৫৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ) দেহে করোনাভাইরাসের পাওয়া গেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওমিক্রন মোকাবেলায় রামেক হাসপাতাল পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে যাওয়ার কারণে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যাও একেবারেই কমে গিয়েছিলো। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে রামেক হাসপাতালে আক্রান্ত কিংবা সাসপেক্টেড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ৫ গুণ কম ক্ষমতাসম্পন্ন বলে বলা হচ্ছে। কিন্তু এটি দ্রুত বাতাস কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। এজন্য এটি সবচেয়ে বেশি ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গত কারণেই রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটকে ওমিক্রন মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কেননা, হয়তো অদূর ভবিষ্যতে ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মত দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে।’
ওমিক্রন মোকাবেলার প্রস্তুতি সম্পর্কে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে প্রায় ৭০০ সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন রয়েছে। হাইফ্লোনেজাল ক্যানুলা রয়েছে, অক্সিজেন কনসান্ট্রেটর রয়েছে ৩০০টি। ১ হাজার ৪০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২৪টি বাইপেপ রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১ হাজার লিটারের একটি ভিআই ট্যাংক। সেই সাথে ভিআই ট্যাংকটি ৩ হাজার লিটারে উন্নীত করার কাজ চলছে।
রামেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘আপাতত করোনা ওয়ার্ডে (২৯ ও ৩০ নং ওয়ার্ড) প্রশিক্ষিত ২টি চিকিৎসক টিম (১৬ জন) কাজ করছে। এছাড়া করোনা ক্যাবিনে ১২ জন ডাক্তার চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া পর্যাপ্ত নার্সও সেখানে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। ওমিক্রনের সংক্রমন বেড়ে গেলে সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ডাক্তার-নার্স সংযোজন করা হবে।’
শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘ওমিক্রনের লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, রাজশাহীতেও ওমিক্রন হানা দিয়েছে। কেননা- ওমিক্রন আসলে ওইভাবে রোগীকে কাবু করতে পারে না। এজন্য অনেকেরই হাসপাতালের আসার প্রয়োজন হয় না। আমার পরিচিত বেশ কয়েকজনের এমন হয়েছে। তাদের অনেকেই বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু রাজশাহীতে ওমিক্রন সনাক্তের ব্যবস্থা না থাকায় আসলে বুঝা যাচ্ছে না যে, তারা এই ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত কি-না।’ আজকের তানোর