রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৩১ am
আব্দুস সবুর, ভ্রাম্যমান প্রতিবেদক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী আলতাজের খুটির জোর কোথায় এবং পদধারী নেতারা নিরব ভূমিকায় কেন রয়েছেন এমন প্রশ্ন ভারশোঁ ইউপি জুড়েই। এই আলতাজ নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পরাজিত হওয়ার পর থেকে তার দাদন বাহিনী একের পর এক হামলা মামলা করলেও মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা রহস্যজনক কারনে একেবারেই নিরব অবস্থায় আছেন বলেও একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
শুধু তাই নয় আলতাজ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করলেও টনক নড়ছে না প্রশাসনের। নাকি আলতাজের নারায়নের কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছেন এমনও অভিযোগ উঠেছে। তা না হলে নৌকার বিজয়ী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভোট গণনার ধোয়া দাবি তুলে আদালতে রিট করা এবং নৌকার কর্মী ভোটারদের উপর মামলা হামলা করলেও দলীয় ভাবে কেন ব্যবস্হা নেওয়া হচ্ছে না। তাহলে কি বিদ্রোহী আলতাজ কে কি এমন ক্ষমতা দেওয়া হল যে তিনি এত অরাজকতা সৃষ্টি করেই চলেছেন।আবার নৌকার কর্মীরা মারপিটের ঘটনায় মামলা করেও এলাকা ছাড়া।নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া আলতাজের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া নেতা প্রশাসনকে আগে খুজে বের করতে হবে। নচেৎ উত্তেজিত জনতা কখনোই থামবেনা। ফলে বিদ্রোহী আলতাজ ও তার মদদ দাতা দেরও দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন তৃনমুলের নেতাকর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি আসন্ন তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।নানা কিছু করেও নৌকা পাননি ইউপি আওয়ামী লীগের অব্যাহতি পাওয়া আলতাজ।তিনি নৌকা না পেয়ে ভারশোঁ ইউপি হলেও তানোরেরও সীমান্তবর্তী তার নিজ এলাকা চৌবাড়িয়া বাজারে ট্যায়ার জালিয়ে নৌকা দেওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের ধিক্কার জানিয়ে প্রতিবাদ সভা করেন।
এরপর ভোটে নৌকার বিরুদ্ধে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আলতাজ।ভোটের মাঠে ভোটের দিনও আলতাজ বাহিনীর ছিল প্রচন্ড দাপট। আবার নাকি প্রশাসনও ছিল নৌকার বিরুদ্ধে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভোটে আলতাজ পরাজিত হন নৌকার প্রার্থী তরুন উদীয়মান মান ভারশোঁ ইউপির উন্নয়নের রুপকার ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান সুমন। তিনি বর্তমানেও চেয়ারম্যান রয়েছেন।নৌকা মনোনীত সুমন পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বিদ্রোহী আলতাজ বাহিনীর লোকজন হামলা মামলা করতেই আছেন। নৌকার কর্মী সমর্থকদের মারপিট করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ মামলা করেও রহস্য জনক কারনে প্রশাসনের তেমন ভুমিকা না থাকলেও যারা অভিযোগ ও মামলা করেছেন তারা সেই থেকে এখন পর্যন্ত বাড়ি ছাড়া।
ভারশোঁ ইউপির উৎরাইল বিলের জমি নিয়ে মারপিটের ঘটনায় পাকুড়িয়া গ্রামের ফারুক হোসেন নামের নৌকার কর্মী থানায় মামলা দায়ের করেন।তিনি চলতি মাসের ১৪ জানুয়ারি মান্দা থানায় মামলা করার পর থেকে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন।এর আগে ৯ জানুয়ারি নৌকার কর্মী আতাউর থানায় অভিযোগ করার পর থেকে পরিবার ছাড়া।
তারা জানান, আমরা নৌকার পক্ষে থাকার জন্য আজ বাড়িঘর ছাড়া।বিদ্রোহী আলতাজ বাহিনীর দানেশ মুবারকসহ তাদের লোকজন আসামি হয়েও প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। আলতাজের কি এমন খুটির জোর যে প্রশাসন ব্যবস্হা নিচ্ছে না।নাকি তার টাকার কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে।
আলতাজ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান এসব ঘটনার জন্য সুমন চেয়ারম্যান দায়ী।
নৌকার চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান সুমন জানান, নৌকা না পেয়ে উম্মাদের মত প্রতিবাদ সভা করলেন।আবার ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ভোটে পরাজিত হয়ে আদালতে রিট করলেন।তার এতই জনপ্রিয়তা তাহলে মানুষ তাকে ভোট দিল না কেন।যারা নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হেরে গিয়ে পাগলের মত আদালতে রিট করেছেন। তাকে বোঝা উচিৎ নৌকা দিয়েছেন দেশরত্ন জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তিনি নৌকার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়া মানে নৌকাকে চ্যালেন্জ করা।আসলে বিদ্রোহী ভোটের মাঠে প্রচুর টাকা খরচ করে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেনা।তাই এসব করে যদি দলে কোন আশ্রয় প্রশ্রয় পায়।
মান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দীন মন্ডল জানান, আলতাজকে ভোট করতে মানা করেছিলাম।কিন্তু তার একটাই কথা দল ছাড়ব তাও ভোট করব।এজন্য সে অটো বহিষ্কার হয়ে গেছে। আলতাজ ও তাদের মদদ দাতাদের তালিকা জেলা কমিটিকে দেওয়া হয়েছে। আসা করছি অল্পদিনের মধ্যেই তার ব্যবস্হা হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী জানান, এই আলতাজ চৌবাড়িয়া ব্রীজ উদ্বোধনের সময় বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন। ইউপি আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বের মুলেই আলতাজ।জানিনা তার খুটির জোর কোথায় যে এখনো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না কেন।এক ব্যক্তিকে কতবার ক্ষমা করবে দল।নাকি অন্যকিছু।আসলে এসব কারনে দলের বদনাম হচ্ছে। তবে, মান্দা থানার ওসি শাহিনুর জানান,আসামিদের আটক করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। কিন্তু তারা পলাতক থাকায় সন্ধান মিলছে না। আজকের তানোর