শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৮:৫৩ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। রাজশাহী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেরও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সব মিলিয়ে রাজশাহীকে এক বিশাল শিক্ষাযজ্ঞের নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বুধবার দুপুরে রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমানের অবসরোত্তর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মেয়র। বুধবার রাজশাহী কলেজ শিক্ষক পরিষদের দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ বিদায়ী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এই মানুষটির কারণে এক সময়ের অবিভক্ত বাংলার উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান রাজশাহী কলেজ পরপর চারবার বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষাসহ সবদিক দিয়ে প্রথমস্থান অধিকার করেছে। তার সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে ঝকঝকে ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মাঝে হানাহানি কিংবা বিদ্বেষ নেই।
এই মানুষটির কারণে এখানকার ছাত্রছাত্রীর মাঝে ভাইবোনের পবিত্র সম্পর্ক বিদ্যমান। সেই মানুষটি যখন তার শেষ কর্মদিবস পালন করে এবং তাকে নিয়ে তার সহকর্মীরা অন্তর থেকে কিছু কথা বলেন- সেই মানুষটির সম্পর্কে যতই বলা যাক তা কম হবে। মেয়র বলেন, রাজশাহীতে দেশের স্বনামধন্য বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসছে। হলিক্রসের পূর্ণাঙ্গ একটি শাখা রাজশাহীতে উদ্বোধন হয়েছে। নটর ডেমসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় রাজশাহী কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান তার কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করে বলেন, যে কোনো কাজের প্রতিই ভালোবাসা, সততা, স্বচ্ছতা থাকতে হয়। আমি সেই কাজটি করে গেছি। অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেন, রাজশাহী কলেজে সার্বিক উন্নতির জাদুটা কী? আমি এক কথায় বলি আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের ইতিবাচকভাবে বদলে যেতে দেখেছি। আমরা শিক্ষার্থীদের সুযোগ করে দিয়েছি, প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছি; যা অনেক প্রতিষ্ঠানই পারেনি।
তিনি বলেন, কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন শাসন করেছি, তেমনি অন্তর থেকে ভালোবেসেছি। তাদের সঙ্গে আমার যে বন্ধন তা কখনো ছিঁড়বে না। এর মধ্য দিয়েই কলেজের অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমি চলে গেলেও এ কলেজের পরিবেশ এমনই থাকবে।