আব্দুস সবুর, তানোর : রাজশাহীর তানোর মুন্ডুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজুদ্দিনের কন্যা ফেরদৌসী বেগমের ক্রয়কৃত দখলীয় সম্পত্তি জোরপুর্বক দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাঁচন্দর ইউপির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত গোল মোহাম্মদের পুত্র ভুমিদস্যু দালাল সাজ্জাদ আলী বাহিনী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর আইনি সহায়তা চেয়ে ফেরদৌসী বেগম বাদি হয়ে সাজ্জাদ আলী গং কে বিবাদী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও)র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।এতে করে চরম আতঙ্ক নিয়ে বাস করছেন পরিবারটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত মঙ্গলবার ভুমিদস্যু দালাল সাজ্জাদ আলীসহ তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার দলবল নিয়ে সেখানকার বেড়া ভেঙ্গে টমেটো ও বেগুনের গাছ উপড়ে ফেলে তাদের জায়গা ছেড়ে দেবার হুমকি দিয়েছে। এসময় ফেরদৌসী বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর ও তার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলেও ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
জানা গেছে, উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার ৭০ নম্বর পাঁচন্দর মৌজায়, খতিয়ান নম্বর আরএস ৩৭১, প্রস্তাবিত ১৫২৩ ও হোল্ডিং ১৫৭১, শ্রেণী ভিটা, যাহার নামজারী কেস নম্বর ২৫-৩৯-১/২০১৩-১৪ ও তারিখ ২০/০৪/২০১৪। উক্ত সম্পত্তি মুন্ডুমালা বাজার এলাকার মৃত সাজ্জাদ আলীর পুত্র মোজাম্মেল হক ও এনামুল হকের কাছে থেকে ২০১৬ সালে ক্রয় করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছেন ফেরদৌসী বেগম। সম্প্রতি ভুমিদস্যু চক্র সাজ্জাদ আলী উক্ত সম্পত্তি থেকে ফেরদৌসীকে উচ্ছেদ করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করেছে। এমনকি সম্পত্তি থেকে স্বেচ্ছায় সরে না গেলে প্রাণনাশসহ তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাদের এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিচ্ছে দালাল সাজ্জাদ আলীর বাহিনী। ফলে হতদরিদ্র পরিবারটি চরম নিরাপত্তা হীনতায় মানবেতর জীবনযাপন করছে।
অথচ পাশেই মুন্ডুমালা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র থাকলেও তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছে না বরং পুলিশ সাজ্জাদের পক্ষ নিয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এদিকে স্থানীয়রা ভুমিদস্যু দালাল সাজ্জাদ আলী বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ভুক্তভোগী ফেরদৌসী জানান অনেক কষ্ট করে জায়টি কিনেছে। এতদিনে কোন সমস্যা ছিল না।কিন্তু আমাদের জায়গার পিছনে রাজশাহীর শাহ আলম নামের এক ব্যাক্তির জমি আছে। সে জমি বিক্রি করবে বলে শুনছি।এজন্য ডাঙ্গাপাড়াগ্রামের সাজ্জাদ আমার জায়গা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি শহরে বাসা বাড়িতে কাজ করি।এসবের জন্য বারবার আসতে হচ্ছে।জমি কিনেও যদি এসব হয় তাহলে আমাদের মত গরীব অসহায় মানুষেরা যাবে কোথায়।আবার মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির থেকে এসে নানা ভাবে কথাবার্তা বলছেন।
মুন্ডুমালা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে এসব বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি জানান আমি এসব জানিনা। তবে খোজ নিয়ে দেখছি। ফাঁড়ির এএসআই সাহাজুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনি ওই জায়গাতে গিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন কি কারনে, আপনার কাছে কেউ অভিযোগ করেছে নাকি, তিনি জানান কেউ অভিযোগ করেনি। তবে হুমকি দেওয়া হয়নি।তাহলে কিসের জন্য গিয়েছিলেন প্রশ্ন করা হলে এড়িয়ে গিয়ে বলেন অভিযোগ পাওয়া গেলে উভয় পক্ষকে ডাকা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান জানান, ক্রয়সুত্রে সম্পত্তির মালিক ফেরদৌসী বেগম তাদের সেখানে ঘর তৈরীর অনুমতি দেয়া হয়েছে, কিন্ত্ত তারা অসহায় বলে প্রতিপক্ষ তাদের ওপর অবিচার করছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে সাজ্জাদ আলী সাংবাদিকগণের কাছে কোনো কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ বলেন তাদের ক্রয়কৃত জায়গা আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছে এবং তাদেরকে বাড়ি করতেও বলেছি।তারপরও কোন সমস্যা হলে ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। আজকের তানোর