শনিবর, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৩:১২ am
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। দুইপক্ষের বাড়ির ভিটা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলার ক্ষেত্রে গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র পক্ষপাতিত্ব করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আবদুল গাফফার নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের আলোকছত্র গ্রামে।
আবদুল গাফফারের সঙ্গে বাড়ির জমি নিয়ে তার ভাই আবদুল খালেকের বিরোধ। খালেকের ছেলে মো. ওয়ালিদ পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি করার কারণে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ তার পক্ষ নিয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গাফফার।
সম্প্রতি রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন আবদুল গাফফারের ছেলে ইয়ামিন আলী। তিনি জানান, তার বাবা-চাচারা চার ভাই। তার দাদার মৃত্যুর পর ওই চার ভাই দাদার সম্পত্তি বাটোয়ারা করে নেন। বর্তমানে তারা যে বসতবাড়িতে থাকেন সে জায়গাটি হাতিয়ে নিতে ২০০৯ সাল থেকে তার চাচা আবদুল খালেক প্রচেষ্টা শুরু করেন। ২০১২ খালেকের ছেলে ওয়ালিদ পুলিশে চাকরি পেলে জমি দখল করতে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওয়ালিদ বিভিন্ন সময় গোদাগাড়ী থানা ও কাঁকনহাট ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যদের অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন জমি দখল নিতে। এরই মাঝে ভুক্তভোগী পরিবারের সম্পত্তির একটি অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন পুরো সম্পত্তি দখল নিতে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রবেশ পথে গবাদিপশুর বিষ্ঠা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদের দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারকে।
শুধু তাই নয়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ওয়ালিদ কিছু দুর্বৃত্ত পাঠিয়ে জমি দখল নিতে ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় গফুরের ছোট ছেলে আহত হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ নিয়ে গোদাগাড়ী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। উল্টো আব্দুল গাফফারের নামে মিথ্যা মামলা করা হয়।
ইয়ামিন আলী দাবি করেন, তার বাবা আব্দুল গাফফারকে বিভিন্ন সময়ে মোবাইলে ও সশরীরে গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন পুলিশ সদস্য ওয়ালিদ।
এ বিষয়ে তারা পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি), জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) ও জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ইয়ামিন।
জমি দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ কনস্টেবল মো. ওয়ালিদ বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। গ্রামের সবাইকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে আমরা যে অংশটুকু পেয়েছি, সেটুকু দখলে নেওয়া হয়েছে। এর বেশি একটুও না।
এ ব্যাপারে গোদাগাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ওসি স্যার না থাকায় আমি দায়িত্বে। এ বিষয়গুলো আমি বিস্তারিত জানি না। তবে কেউ পুলিশ সদস্য হলেই যে বাড়তি সুবিধা পাবেন বিষয়টা তেমন না। আজকের তানোর