রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০২:৩৯ pm
ক্রীড়া ডেস্ক : গত ৮ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আইসিসি কমনওয়েলথ গেমস-২০২২ এর নারী বাছাইপর্ব খেলতে দেশে ছেড়েছে বাংলাদেশ নারী জাতীয় ক্রিকেট দল। সে দলের মূল স্কোয়াডে জায়গা হয়নি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার জাহানারা আলমের। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সরাসরি না বললেও জানা গেছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বাদ পড়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর টালমাটাল দেশের ক্রিকেট। পাল্টা অভিযোগ জাহানারার।
ক্ষুব্ধ জাহানারা লিখিত অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন বিসিবিতে। তবে সেটি নারী বিভাগে নয়, সরাসরি প্রধান নির্বাহীর হাতে। বিষয়টি ভালো লাগেনি বোর্ডের নারী বিভাগের চেয়ারম্যানের। যদিও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা বলে বলে জানিয়েছেন এই বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যকে নাদেল জানালেন, তার কাছে এমন কিছু প্রমাণ আছে যা প্রকাশ করলে লজ্জায় পড়বেন জাহানারা। নাদেল বলছিলেন, ‘আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে। আমি দেখাতে চাই না, দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন। এখানে পক্ষ-বিপক্ষের বিষয় নেই। আমরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। তারা আমাদের সন্তানতুল্য, ছোট ভাই, ছোট বোনের মতো। তাদের চলার পথে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা অভিভাবকসুলভ মনোভাব দিয়ে সংশোধন করার দায়িত্ব আমাদের।’
জাহানারা মূলত বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েতে নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম, কোচ একে এম মাহমুদুল ইমনের বিপক্ষে পক্ষপাতের অভিযোগ এনেছেন। একই সঙ্গে তুলে ধরেছেন ড্রেসিংরুমের অনেক ঘটনা। তবে নির্বাচক মঞ্জু এবার জাহানারাকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পিছনে পারফরম্যান্সকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
একই সুর নাদেলের কণ্ঠে, ‘কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রত্যাশা যখন পূরণ হয় না তখন মনঃক্ষুণ্ণ হওয়াটা স্বাভাবিক। এ বিষয়টাকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই।’ সঙ্গে যোগ করেন নাদেল, ‘আমি যেটা শুনেছি সে সরাসরি সিইওর কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। তার অভিযোগের মধ্যে ছিল- তাকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সেটা সে তার বিবেচনায় বলেছে। সিইও বলেছেন বিষয়টি খোঁজখবর নেবেন।’ আজকের তানোর