নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মসজিদে খাবার পানির মটর স্থাপনের অভিযোগে মটরসহ মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জনমনে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বইছে, নানা ধরণের মুখরুচোক গুন্জন।
জানা গেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পহেলা ফেব্রুয়ারী সোমবার সকালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আকচা বানিয়াপাড়া গ্রামের মসজিদের সামনে থেকে খাবার পানির একটি মিনি মটরসহ মালামাল জব্দ করেন তানোর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও রির্টানিং কর্মকতা সুশান্ত কুমার মাহাতো।
অন্যদিকে এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে, উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) ও রির্টানিং কর্মকতা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে মটরের সকল মালামাল জব্দ করা হয়েছে এবং বিষয়টি অতীবও গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আসলে প্রায় ৬ মাস আগে গ্রামবাসীর আবেদনের ভিত্তিত্বে মসজিদে খাবার পানির একটি মটর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্ত্ত অর্থিক সংকটের কারণে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। অর্থপ্রাপ্তি ও গ্রামবাসীর অনুরোধে মসজিদের সামনে খাবার পানির মটর স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আসলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মটর স্থাপনের কোনো ইচ্ছে তার নাই, যদি তিনি সেটাই করতে চাইতেন তাহলে মটরের পরিবর্তে টাকা দিতে পারতেন।
আর মটরের সঙ্গে ভোটের কি সম্পর্ক যারা তাকে ভোট দিবেন তারা এমনিতেই দিবেন বরং মসজিদের সামনে থেকে মটর জব্দ করায় গ্রামের সিংহভাগ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে তাকেই ভোট দিবে বলে শোনা যাচ্ছে।
আবার কেউ বলছে, সাধারণ মানুষের পারচেপশনের মুল্য দিতে হবে এভাবে ভোট পক্ষে নেয়া যায় না বরং মটর স্থাপনের পর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সরকারের দেয়া মটরের কৃতিত্ব নিজের ঘরে নিতে পারতেন। কিন্ত্ত রাজনৈতিক দুরদন্শীতা না থাকায় তারা সেই সুযোগ হেলায় হারিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আজকের তানোর