সমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৬:৫৬ pm
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর বেশির ভাগ মানুষই মাস্ক পরা ভুলে গেছে। করোনার সংক্রমণ কমে আসার পর থেকেই তারা মাস্ক পরা ছেড়ে দিয়েছে। সভা-সমাবেশ, জনবহুল অনুষ্ঠান কিংবা হাটে-বাজারে মানুষ চলাচল করছে মাস্ক ছাড়াই। এ অবস্থায় এবার ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন সকালে নগরীর মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষেরই মুখে ছিল না মাস্ক। অথচ কয়েক মাস আগেই এই বাজারে আসা মানুষের বেশির ভাগেরই মুখে মাস্ক থাকত। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তখন বিষয়টি তদারক করা হতো। স্বাস্থ্যসচেতনতায় এখন আর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
করোনার ডেলটা ধরনের সংক্রমণের পর গত বছরের জুনে রাজশাহীতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৫০ শতাংশ মানুষেরও রিপোর্ট পজিটিভ হয়েছে। ধীরে ধীরে তা কমে আসে। গত অক্টোবর, নভেম্বর-ডিসেম্বরেও রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণের হার কোনো কোনো দিন শূন্যে নেমেছিল।
এখন আবার কয়েক দিন ধরে সংক্রমণ বাড়ছে। সবশেষ বৃহস্পতিবার রাজশাহীর ১৭৫টি নমুনা পরীক্ষায় ২১টি পজিটিভ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ১২ শতাংশ। কিন্তু স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ছে না, বরং কমছে।
গতকাল শুক্রবার মাস্টারপাড়া কাঁচাবাজারে সবজি বিক্রি করছিলেন খলিল মিয়া। মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ‘করুনা তো এখন আর নাই। আর ঠান্ডার দিনে মাপলার পরছি। মাস্ক পরা যায় না।’
বাজার করতে আসা ষাটোর্ধ্ব জাহিদুল ইসলামও মাস্ক পরেননি। তিনি বলেন, ‘আমি তো দুই ডোজ টিকা নিয়েছি। এখন মাস্ক না পরলেও চলে। আর কত মাস্ক পরব!’
রাজশাহীর বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান কিংবা জনবহুল স্থানগুলোতেও এখন বেশির ভাগ মানুষকে মাস্ক পরতে দেখা যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার কিংবা সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাসও আর এখন নেই। এসব অভ্যাস আবার ফিরিয়ে না আনলে সামনে বিপদ বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাজশাহীর সদ্য সাবেক সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার বলেন, করোনার সংক্রমণ কমে আসার পরই মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে অসচেতনতা শুরু হয়। এখন আবার সচেতন না হলে সামনে বিপদ।
তিনি জানান, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার আবার একটি নির্দেশনা এসেছে। সে অনুযায়ী জেলা প্রশাসন কাজ করবে।
রাজশাহীর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, এখনো রাজশাহী বিভাগে ওমিক্রন শনাক্ত হয়নি। তবে করোনার শনাক্তের সংখ্যা একটু বেড়েছে। এখন পরীক্ষা কম হওয়ার পরেও শনাক্তের হারটা বেশি হচ্ছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এখন আবার সতর্ক হতে হবে। আগের নিয়মকানুন, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্থানীয় একটি মিটিংয়েও এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আবার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য রাজশাহীতেও কড়াকড়ি শুরু করা হবে। আজকের তানোর