নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর :
রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মেয়র মিজানুর রহমান মিজান (ধানের শীষ) প্রতিক নিয়ে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, পথসভা, প্রচার-প্রচারনা ইত্যাদি কর্মসুচির মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে মিজানের এসব কর্মসুচিতে দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের বিপুল সাড়া ও ঢল সকলের দৃস্টি কেড়েছে।
পাশাপাশি ফের প্রমাণ হয়েছে তানোর পৌরসভায় বিএনপির রাজনীতিতে মিজানের কোনো বিকল্প নাই। মেয়র পদে তিনি অপ্রতিদন্দি নেতৃত্ব। এসব বিবেচনায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা হলে মিজান ফের মেয়র হচ্ছেন এটা নিশ্চিত এনিয়ে কারো কোনো সন্দেহের অবকাশ নাই।
জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার পৌরসভার ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মিজান তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দিনব্যাপী গণসংযোগ করেছেন। এদিকে মিজানের গণসংযোগ রাজনীতি ও ভোটের মাঠে নয়ামেরুকরণ সৃস্টির পাশাপাশি সাধারন মানুষের বিপুল সাড়া পাওয়া গেছে এই অবস্থান ধরে রাখতে পারলে তার নিরুঙ্কুশ বিজয় প্রায় নিশ্চিত।
এসময় তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, কুটির শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন। যৌতুক-মাদক, নারী নির্যাতন-বাল্যবিয়ে, ইভটিজিং-সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আশার আহবান জানিয়ে তিনি তার সময়ে নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন ও অর্জনের চিত্র তুলে ধরে আসন্ন নির্বাচনে (ধানের শীষ) প্রতিকে ভোট প্রার্থনা করেন।
এ সময় তিনি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের আশ্বাস ও সার্বিক সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি তার নেয়া বিভিন্ন অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মসুচি সমাপ্ত করার সুযোগ তাকে দেয়ার জন্য (ধানের শীষ) প্রতিকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান।
এ সময় গ্রামবাসী পৌর নির্বাচনে মিজানের বিজয় নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অন্যদিকে, স্থানীয় নির্বাচন এটা সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয় এই বোধদয় সৃস্টির পর ভোটারগণ প্রতিক নয় প্রার্থীর গুণাগুন বিচার-বিশ্লেশন করে ভোট দেবার প্রস্ত্ততি নিতে শুরু করেছে।
এতে মিজানের জনপ্রিয়তার পারদ প্রতিনিয়ত উপরে উঠছে যেখানে অন্যরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে স্থানীয়রা এবার পৌর নির্বাচনকে প্রতিষ্ঠিত নেতৃত্ব ও নড়বড়ে নেতৃত্বের লড়াই বলে মনে করছে যেখানে মিজান অন্যদের থেকে এগিয়ে রয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, তানোর পৌরসভায় মেয়র হিসেবে মিজান ৫ বছর দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, তিনি প্রতিদিন যদি এক জন করে মানুষের উপকার করেন তাহলে ৫ বছরে সেই সংখ্যা এক হাজার ৮২৫ জন। এদিকে মিজানের কাছে থেকে সরাসরি উপকার পাওয়া এসব মানুষ যদি মিজানের জন্য ৫টি করে ভোট নিশ্চিত করেন তাহলে সেই সংখ্যা ৯ হাজার ১২৫টি।
অথচ, মিজানের প্রতিপক্ষ প্রার্থী আওয়ামী লীগের ইমরুল হকের উল্লেখ করার মতো কোনো বিষয় নাই বরং আওয়ামী লীগের একাংশ কোনো ভাবেই ইমরুলকে মেনে নিতে পারছেন না।
যা নির্বাচনের মাঠে তাকে অনেকটা চরম বেকায়দায় ফেলেছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে এটা সরকার পরিবর্তনের নির্বাচন নয় বিষয়টি উপলব্ধি হওয়ার পরে পৌরবাসী প্রতিক নয় প্রার্থীর ভালমন্দ বিবেচনা করে ভোট প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়াও ইমরুলের বাড়ি পৌরসভার সীমান্ত সংলগ্ন হরিদেবপুর গ্রামে তাই সীমান্ত নয় মধ্যাঞ্চল প্রোপারের প্রার্থী চাই সাধারণ ভোটারগণ বলে আলোচনা রয়েছে। আজকের তানোর