রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ০৪:৪৩ am
নিজস্ব প্রতিবেদক, ধামইরহাট : নওগাঁর ধামইরহাটে একটি ভুয়া এনজিও গ্রাহকদের ঋণদানের নামে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালাবার চেষ্টাকালে গ্রামবাসীর হাতে ধরা পড়েছে। আটককৃতের ধামইরহাট থানা পুলিশ প্রতারনায় মামলায় গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি উপজেলার সাহাপুর এলাকায় ঘটেছে।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নে সাহাপুর গ্রামের একটি বাড়ীতে অফিস ভাড়া নিয়ে এনজিও খোলে উপজেলার ভাতকুন্ডু গ্রামের মো. হারুনের স্ত্রী সালমা বেগম (৩৫) জয়পুরহাটের কালাই থানার সাজুর স্ত্রী সুমি আক্তার মিনা (২৩) ও জয়পুরহাট সদরের ভুটিয়াপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে রবিউল আলম (২৫)। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের নিকট থেকে সাপ্তাহিক সঞ্চয় ও ৫০ হাজার টাকা লোনের বিপরীতে ৫ হাজার টাকা জামানত হিসেবে প্রায় ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে গ্রামবাসীর নিকট থেকে।
পরে গ্রাহকরা লোন চাইলে তালবাহোনা করায় সদস্যরা মায়ের হাসি ফাউন্ডেশনের কাগজপত্র দেখতে চাইলে গোমর ফাঁস হয়, জানা যায়, তাদের সংগঠন ভূয়া। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সালমা বেগম, সুমি আকতার মিনার ও রবিউল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা ৭ জানুয়ারী পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে। সদস্যদের পক্ষে ভুক্তভোগী সদস্য শেফালি বিবির স্বামী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে ধামইরহাট থানায় ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করে।
ধামইরহাট থানার ওসি কে এম রাকিবুল হুদা জানান, সহজ,সরল গ্রামবাসীদের ঠকিয়ে ভূয়া এনজিও খুলে প্রচুর টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করছিল চক্রটি, যা গ্রামবাসীর সহযোগিতায় তাদের আটক করায় সকলেই এই ভূয়া সংগঠনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে, আমরা আটককৃতদের নিয়মিত মামলায় কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছি, মামলা নং-০৬, তারিখ-০৭/০১/২০২২। আজকের তানোর