রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৪২ am
নিজস্ব প্রতবেদক, গোমস্তাপুর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ইউনিয়ন সমাজকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড দিতে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ভাতা দেওয়ার নামে ২’শ’ থেকে ২হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আবার অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েও ভাতার আওতায় আনেননি বলে জানিয়েছেন কয়েকজন।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য ৩ হাজার ৪৩৯ এবং বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা ভাতার জন্য ৩হাজার ৫০৩ জন আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ওই ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতার জন্য ৫৫৩ ও বিধবা ভাতার জন্য ৩৩৭ জন আবেদন করেছেন।
অনলাইনে ভাতাভোগীদের উন্মুক্ত আবেদনের কথা বলা হলেও গ্রামের সহজ-সরল এসব মানুষ ছুটছেন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় ও সমাজসেবা কার্যালয়ে। ফলে সুযোগ বুঝে এসব অসহায় মানুষের কাছ থেকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
বোয়ালিয়া ইউনিয়নের শাহপুর গ্ৰামের সুমিয়ারা খাতুন জানান, অনলাইনে আবেদনের কিছুদিন পর গ্ৰাম পুলিশের মাধ্যমে তাঁকে ডাকে উপজেলা সমাজসেবার ইউনিয়ন সমাজকর্মী মো. শফিকুল ইসলামের কাছে পাঠান। পরে শফিকুল তাঁর কাছ থেকে ২হাজার টাকা নেন।এই টাকা না দিলে ভাতার কার্ড করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেই তাকে।সে হাঁস বিক্রি করে এই টাকা ভাতা কার্ড করার জন্য দিয়েছে।
একই গ্রামের গোলবানু বেগমের ছেলে বাহরুল ইসলাম জানান, বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য হাঁস-মুরগি বিক্রি করে ২হাজার টাকা আমার মায়ের বিধবা কার্ড করতে শফিকুলকে দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কার্ড পায়নি। এইরকম আমাদের গ্ৰামের অনেকের কাছ থেকে শফিকুল টাকা নিয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ উদ্দোগ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য এই সমাজকর্মী ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে ওই গ্ৰামের আসমা খাতুনের থেকে বয়স্ক ভাতার জন্য ৫’শ টাকা,আকিমুদ্দিনের থেকে বয়স্ক ভাতার জন্য ২’শ টাকা ও তার মেয়ে সাবরিনার বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য ২’শ, সুমির বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২হাজার টাকা একপ্রকার চাপ প্রয়োগ করে হাতিয়ে নিয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সমাজকর্মী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসব মিথ্যা। ভাতাভোগী বাছাইয়ে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।থতাছাড়া পুরো উপজেলাতো আমার দায়িত্ব না। শুধুমাত্র বোয়ালিয়া ইউনিয়নের আমি দায়িত্বে আছি।তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন,ওই ভুক্তভোগীদের আপনাদের কাজে অভিযোগ না করে কোর্টে অভিযোগ করতে বলেন।শাস্তি হলে কোর্টেও হোক তাতে আমার কোন ভয় নেই।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন,ভাতা কার্ড করে দেয়ার ক্ষেত্রে আমার অফিসের কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকে।এমন কোন লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবো।তাছাড়া উপরের নির্দেশ আছে এবার শতভাগ ভাতাভোগীরা ভাতার আওতায় আসবে।যাদের এবার নেয়া হয়নি। তাদেরকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়েছে।পর্যায়ক্রমে তারাও ভাতার আওতায় আসবেন।এব্যাপারে কাওকে কোন অর্থ না দেয়ারও তিনি পরামর্শ দেন। আজকের তানোর