রবিবর, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১০:৫৩ am
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন অতিসংক্রামক ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তখন ডেলমিক্রন আক্রান্তেরও খবর আসছে। ভারতের মহারাষ্ট্রের কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. শ্বশাঙ্ক জোসি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো ডেল্টা ও ওমিক্রনের যমজ স্পাইকে আটকা পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ডেল্টা ও ওমিক্রনের যমজ স্পাইক হলো ডেলমিক্রন। ইউরোপ ও আমেরিকায় তার একটি ছোট সুনামি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভাইরাসের সংক্রমণে দেখা মেলে। পরবর্তীতে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে এখন পর্যন্ত ৮৯টি দেশে ওমিক্রনের প্রকোপ ধরা পড়েছে।
বলে রাখা ভালো, ডেলমিক্রন করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ধরন না। ডেল্টা ও ওমিক্রন মিলে করোনাভাইরাস সংক্রমণকে ভয়ঙ্কর রূপ দিয়েছে। যেটিকে ডেলমিক্রন বলা হচ্ছে। উপাত্ত বলছে, মার্কিন করোনা সংক্রমণে প্রাধান্য বিস্তার করছে ওমিক্রন ধরন। দেশটিতে এখন যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ নতুন এই ধরনের। অথচ চলতি মাসের শুরুতে এই সংক্রমণ এক শতাংশেরও কম ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র বলছে, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের ৯৯ দশমিক পাঁচ শতাংশ ছিল ডেল্টা ধরনের। চিকিৎসকেরা বলছেন, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কিংবা আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বয়স্কদের একইসঙ্গে ডেল্টা ও ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেসব অঞ্চলে টিকা নেওয়ার প্রবণতা কম, সেখানে এই ঝুঁকি আরও বেশি।
দুই অতিসংক্রামকের মিশ্রণে অতিশক্তিশালী কোনো ধরনের দিকে চলে যাবে কি না; তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কিছু বলতে পারছেন না। পদ্মাটাইমস