শুক্রবার, ০৪ অক্টোব ২০২৪, সময় : ০৪:৪১ am
আব্দুল লতিফ মিয়া, বাঘা :
আনন্দঘন পরিবেশ আর পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে, বদলে গেছে গ্রামটির নাম। পরিচিতি পেয়েছে পাখির গ্রাম হিসেবে। আর সেই পাখিদের পরিচয়ে সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি ইউনিয়নের নিভৃত খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের নাম। আমবাগানের সেই পাখি সুরক্ষায় বাগানের মালিক-ইজারাদারগনকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করেছে সরকার।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সুপারিশ মোতাবেক বন অধিদপ্তরের অনুন্নয়ন খাত (অর্থনৈতিক কোড ৩২১১১০৩) থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫জন মালিককে বার্ষিক ৩,১৩,০০০ (তিন লক্ষ তের হাজার) টাকা দেওয়ার নির্দেশক্রমে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, গাছের সংখ্যা ও আমের মুল্যে হিসেবে ৫ জন মালিক বার্ষিক ক্ষতিপূরণের ওই ৩,১৩,০০০ টাকা পাচ্ছেন-খোর্দ্দ বাউসার, মুঞ্জুরুল হক (মুকুল) সানার উদ্দীন, সাহাদত হোসেন এবং আড়ানির শফিকুল ইসলাম (মুকুট) ও ফারুক হোসেন।
সরকারের একজন সাবেক সচিব, বাগান মালিক শফিকুল ইসলাম (মুকুট) বলেন,পাখি সুরক্ষায় এটি সরকারের একটি মহৎ উদ্যোগ। বাগান মালিকদের জন্য সরকারি এমন একটা প্রকল্প আশা করেছিলেন। সোমবার সরেজমিন ওই গ্রামের বাগানে গিয়ে দেখা গেছে,পাখিদের বাসা বেঁধে আশ্রয় নেয়া ৩৮টি গাছের মধ্যে বড় একটি আমগাছ মরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে এই সময়ে বাগানে কোন পাখী দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানান. বর্ষার শেষে এসে বাচ্চা ফুটিয়ে শীতের শুরুতে এরা আবার চলে যায়। গত কয়েক বছর ধরে শামুকখোল পাখিরা এই বাগানে বাসা বেঁধে আছে। এই বাগানে বাচ্চা ফোটায়। উপজেলা কৃষি অফিসার
শফিউল্লাহ সুলতান জানান, ৩৮টি আম গাছে পাখী বাসা বেঁধে ছিল। সেই গাছগুলোর আমের সম্ভাব্য দাম ও পরিচর্যার ব্যয় নিরূপণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা হয় বছরে ৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহম্মেদ নিয়ামুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধান বন সংরক্ষণ (সিসিএফ) কর্মকর্তার দপ্তর থেকে নির্দেশনা আসবে। সেই নির্দেশক্রমে অনুমতি পেলে টাকার চেক হস্তান্তর করবেন। এখনো ওই বিষয়ে কোন নির্দেশনা পাননি। আজকের তানোর