বৃহস্পতিবর, ২১ নভেম্বর ২০২৪, সময় : ১১:১১ pm
ফের সেনানিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার। দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চিসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়েছে। তাদের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেনাবাহিনী। খবর আলজাজিরা, রয়টার্স ও বিবিসির।
দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে সেনাশাসন জারি করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। সামরিক বাহিনী পরিচালিত টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিও ভাষণে বলা হয়েছে, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর দাবি, মিয়ানমারের গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে প্রতারণা করা হয়েছে। এরই প্রতিক্রিয়ায় সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়েছে।
৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়। কিন্তু নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল।
দেশটির বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এসব ঘটনা ঘটল।
এনএলডির মুখপাত্র মিও নয়েন্ট বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও দলের অন্যান্য নেতাদের সোমবার ভোরে বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এনএলডির মুখপাত্র মিও নয়েন্ত নিজেও গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এনএলডির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হান থার মিন্টকেও আটক করা হয়েছে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী নেইপিদো ও প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের সড়কে তাঁরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখেছেন।
প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং কিছে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম এমআরটিভি জানিয়েছে যে তারা কিছু কারিগরি সমস্যার মুখে পড়েছে এবং তাদের সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নভেম্বরের নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় সোমবার দেশটিতে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন বসার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এই অধিবেশন স্থগিতের দাবি জানিয়েছিল। মিয়ানমারে ২০১১ সাল পর্যন্ত সামরিক জান্তা ক্ষমতায় ছিল। জান্তা শাসনের সময় সু চি অনেক বছর ধরে গৃহবন্দী ছিলেন। সূত্র : যুগান্তর। আজকের তানোর